নীলফামারী সদরে একটি বাড়ির ফটক থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ওই ব্যক্তির স্ত্রী-ছেলেসহ পরিবারের ছয়জনকে।
জেলা শহরের মধ্য হাড়োয়া নিকুঞ্জ এলাকায় শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির নাম হুসেন আলী। তিনি এলাকায় রিকশাভ্যান মেরামতের কাজ করতেন।
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, ভোরের দিকে হুসেনের চিৎকারে ঘুম ভাঙে প্রতিবেশীদের। তারা গিয়ে দেখেন, বাড়ির ফটকের সামনে তার রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। তারাই পুলিশে খবর দেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
নিহতের ছোট ভাই আলাল হোসেন বলেন, এই বাড়িতে স্ত্রী সুফিয়া বেগম দুই ছেলে রশিদুল ইসলাম ও মতিয়ার রহমান এবং মতিয়ারের স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন হুসেন।
নিহতের বড় বোন মজিরন বেগম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের (হুসেন) বড় ছেলে রশিদুলের সঙ্গে আমাদের বোনের মেয়ের বিয়ে হয়। পরে তাদের তালাক হয়ে যায়। ওই তালাকের মামলা চালাতে গিয়ে নিজের স্ত্রীর সঙ্গেই হুসেনের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। মামলা চালাতে গিয়ে এই বাড়ি বিক্রি করেছে। পাশেই একটি নতুন বাড়ি করেছে, সেখানে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু কে বা কারা তাকে বাড়ির সামনে গলা কেটে হত্যা করেছে। আমি তার হত্যার বিচার চাই।’
আলালের অভিযোগ, ওই মামলার কারণেই তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
ওসি জানান, ঘটনা তদন্তে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হুসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, দুই ছেলে রশিদুল ইসলাম ও মতিয়ার রহমান, বোন জাহানারা, রশিদুলের স্ত্রী স্বপ্না বেগম এবং মতিয়ারের স্ত্রী সেলিনা বেগমকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।