‘দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত একটি শিশুর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন’, মোহিমা বেগম নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে এমন পোস্ট দেয়া হয়। সঙ্গে দেয়া হয় একাধিক বিকাশ নাম্বার। এমন আরও কয়েকটি সাহায্যের পোস্ট দেয়া হয় কয়েকটি ফেসবুক আইডি থেকে। প্রতিটিতে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ছবি ও ভিন্ন ভিন্ন রোগের বর্ণনা দেয়া হয়।
বিষয়টি নজরে আসলে তদন্তে নামে পুলিশ বুর্যো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। জানতে পারে, সিলেটের একটি প্রতারক চক্রের কাজ এটি। গ্রেপ্তারও করা হয় চক্রের দুই সদস্যকে।
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শনিবার দুপুরে এই তথ্যগুলো জানান পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান।
তিনি বলেন, ফেসবুকে এসব পোস্ট দেখে সাহায্যের জন্য অনেকেই বিকাশে টাকা পাঠান। পরপর এ ধরনের কয়েকটি পোস্ট দেখে সন্দেহ হলে তদন্তে নামে পিবিআই।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মানবিক সহায়তামূলক পোস্টগুলোতে আমরা অনেকদিন ধরেই নজর রাখছি। পােস্টগুলাের কোনো সত্যতা না পেয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, পােস্টগুলাে ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে একই বিকাশ ও নগদ নাম্বার ব্যবহার করে চিকিৎসার সাহায্যের জন্য বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজে দেয়া হয়।’
পুলিশ সুপার বলেন, সাইবার প্রতারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার ওসমানীনগর থেকে আটক করা হয় এই চক্রের দুই সদস্য জাফরান খান ও তারেক হােসেনকে। অন্তত ৮টি ফেসবুক আইডি খুলে তারা এই প্রতারণামূলক পোস্ট দিতেন। প্রতিটিতেই একই বিকাশ নাম্বার দেয়া হয়েছে। তাদের ব্যবহার করা মােবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার দুইজনের নামে ওসমানীনগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক লিটন চন্দ্র পাল। তারা কত টাকা এ পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে ও এর সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।