করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে মরদেহের কাছে আসেনি প্রতিবেশীরা। ঘরেই কয়েক ঘণ্টা পড়ে ছিল ওই নারীর মরদেহ। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা খাতুন গিয়ে সেই নারীর দাফনের ব্যবস্থা করেন। মরদেহের গোসলও দিলেন নিজে।
এ ঘটনা পিরোজপুরের কাউখালীর উজিয়ালখান গ্রামে শুক্রবার রাতে ঘটেছে।
এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই নারীর নাম রেখা সুলতানা। স্বামী ও তিন সন্তান নিয়ে তার সংসার ছিল। সন্তানদের মধ্যে বড় ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী, মেজো মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ছোট মেয়েটির বয়স পাঁচ বছর।
ইউএনও খালেদা খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে রেখা চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার দুপুরে তিনি সেখানে মারা যান।
তার স্বামী মো. সোলেমান হাসপাতাল থেকে শুক্রবার বিকেলেই মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন। তবে করোনার সংক্রমণের ভয়ে মরদেহের কাছে যাচ্ছিলেন না এলাকার কেউ। কোনো স্বজন না থাকায় মরদেহের দাফন নিয়ে বিপাকে পড়েন সোলেমান।
ইউএনও জানান, বিষয়টি স্থানীয় এক ইউপি সদস্য তাকে ফোন করে জানান সন্ধ্যায়। পরে রাত ১০টার দিকে তিনি সেখানে যান। তাকে দেখে এগিয়ে আসেন স্বেচ্ছাসেবী মাহাফুজা মিলি ও শামীমা আক্তার। তারা মৃত নারীর গোসল করান। পরে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির সহায়তায় রাত ১২টার দিকে দাফন করা হয় রেখাকে।
ইউএনও বলেন, ‘মৃত নারীকে গোসল বা দাফন করার অভিজ্ঞতা আমার না থাকলেও এলাকার কয়েকজন মানুষের সহযোগিতায় সেটি ভালোভাবে করা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সুরক্ষাসামগ্রী (গাউন, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, ক্যাপ ও বুটজুতা) পরেই ধর্মীয় রীতিতে রেখার গোসল ও দাফন করা হয়।