নওগাঁয় দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রী মারেকা বানুকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. মুনির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার ভোরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারেকার মৃত্যু হয়েছে।
নওগাঁ সদর উপজেলার সরল শিকারপুর গ্রামে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
৩৮ বছর বয়সী মারেকা উপজেলার বাড়ী গুমারদহ সাহানাপাড়ার মৃত আব্বাস আলী মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী মো. মুনি একই উপজলার শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
মারেকার পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গোপনে এক নারীকে বিয়ে করেন মুনি মেম্বার। বিষয়টি মঙ্গলবার বিকেলে তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারেকা বানু জানতে পারেন। এ সময় মুনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে তুলতে মারেকার সম্মতি চান। এতে সম্মত না হয়ে প্রতিবাদ করেন তিনি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যান মুনি।
স্থানীয় লোকজন মারেকাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ওই দিন রাতেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, মারেকার মরদেহ রাজশাহী মেডিক্যাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করবেন তার বড় মেয়ে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।