চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট বসানোর প্রথম দিনই স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ইজারাদারকে জরিমানা করা হয়েছে।
চাঁপাই প্রশাসন এবার হাট বসানোর অনুমতি দিলেও বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দেয়। শর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি পাঁচ ফুট দূরত্ব রেখে গরু বাঁধার স্থান নির্ধারণ করতে বলা হয়েছিল। সে শর্তই মানা হয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলা পশুর হাটে।
ফলে প্রথম দিনেই হাট ইজারাদারকে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রহুল আমিন শরিফ বলেন, ‘এক পশু থেকে অন্য পশু রাখতে ৫ ফুট দূরে দূরে খুঁটি বসানোর কথা ছিল। কিন্তু ইজারাদার সেটা করেননি। যার কারণে তাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী হাট বসার আগেই পাঁচ ফুট দূরে খুঁটি স্থাপন করবেন বলে তিনি আমাদের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।’
এদিকে করোনার সংক্রমণ রোধে বটতলা হাটকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মূল হাটে বসানো হয়েছে গরু হাট। অন্যদিকে হাটের পাশে থাকা একটি আমবাগানে (ঠাকুরের বাগান) বসানো হয়েছে খাসির হাট। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে হাট বসলেও দুপুরের পর ক্রেতা-বিক্রেতারা আসতে শুরু করেন।
হাটে আসা গরুর মধ্যে অধিকাংশই ছিল মাঝারি গড়নের। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম দেড় থেকে দুই লাখ টাকা হাঁকালেও মাঝারি বা ছোট সাইজের গরু মিলছে ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যেই।
গরু কিনতে আসা, বাক্কার আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘হাটে গরুর দাম খুব আকরাও না আবার সস্তাও না, দামদর কর্যা কিনতে পারলে ভালোই গরু পাওয়া যাচ্ছে।’
গরু বিক্রি করতে হাটে আসা শহরের হরিপুর মহল্লার নূর ইসলাম বলেন, ‘হাটে গরু লিয়্যা আসছি, হাটে লোকও ভালো আছে, দামও খারাপ বলছে না।’
অন্যদিকে হাটে খাসির দাম ১২ হাজার থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে।
হাট ইজারাদার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার প্রথম হাট, প্রথম দিন কিছু সমস্যা ছিল, তবে আগামী হাটবারে বিক্রেতারা যেন একটু দূরে দূরে গরু নিয়ে বসে সেটা মেনটেন করার চেষ্টা করব। হাট বসবে কিনা, এটা নিয়্যাই অনেকে চিন্তায় ছিল, তাই প্রথম দিন হাটে গরুর আমদানি কম, তবে ঈদ আসতে আসতে হাটে জমে উঠবে বলে আশা করছি।’