বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উজানের ঢলে ভাঙল ১৫ গ্রামের ভরসার সাঁকো

  •    
  • ১০ জুলাই, ২০২১ ০১:৩৫

অমরখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিদিন এলাকার মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দিতে হয়, সেতু হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি। কিন্তু কবে হবে তা জানি না। গত কয়েক দিন আগে সবেধন নীলমণি যেটুকু ছিল তাও পানির তোড়ে চলে গেছে। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে সেই ভরসায় আছি।’

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় উজানের পানির ঢলে একটি কাঠের সেতু ভেসে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ১৫ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে পঞ্চগড়ের নদনদীর পানি বাড়ছে। সদর উপজেলার অমরখানা ও সাতমেরা ইউনিয়নের সংযোগস্থলে প্রবাহিত চাওয়াই নদীর পানিতে ৪ জুলাই ভেসে গেছে দুই ইউনিয়নের মানুষের টাকায় তৈরি এই কাঠের সাঁকোটি।

ঘটনার পরপরই দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন। তাৎক্ষনিকভাবে সাঁকো নির্মাণের প্রক্কলন তৈরী করে প্রজেক্ট দাখিল করতে চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেন তিনি।

দুই ইউনিয়নের প্রায় ১৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষকে এই সাঁকোর অভাবে জেলা শহরে আসতে বাড়তি ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হচ্ছে। আর্থিকভাবে অক্ষম মানুষরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ভরা নদী পার হচ্ছে।

এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি এই নদীর উপর স্থায়ী পারাপারের ব্যবস্থা। বিষয়টি পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসককে জানানো হলে তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানোর আশ্বাস দেন।

দেবনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ‘স্থায়ী ভাবে নদীর উপর সেতু না থাকায় কাঠের সাঁকোটিকে প্রতি বছর মানুষের সাহায্য নিয়ে মেরামত করতে হয়। এটি আবার প্রতি বর্ষায় পানির তোড়ে ভেঙে যায়। এই অঞ্চলের কয়েক হাজার স্কুল মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সাঁকো পার হয়ে অমরখানা হয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।’

অমরখানা ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার পৈত্রিক ভিটা নদীর ওপারে খৈইপাড়া গ্রামে। যাতায়াতের কষ্টে নদীর এপারে বাড়ি করেছি। সন্তান পড়ে নদীর ওপারে খৈইপাড়া নুরানী মাদ্রাসায়। বহুদিন ধরেই এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছি কোনো লাভ নেই। কতবার মানুষ এসে সেতুর জায়গা মেপে গেল, কিন্ত সেতু আর হলো না।’

অমরখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিদিন এলাকার মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দিতে হয়, সেতু হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি। কিন্তু কবে হবে তা জানি না। গত কয়েক দিন আগে সবেধন নীলমণি যেটুকু ছিল তাও পানির তোড়ে চলে গেছে। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে সেই ভরসায় আছি।’

পঞ্চগড় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ হোসেন বলেন, ‘নদীতে বর্তমানে পানির প্রবাহ অনেক। একটু খরা হলেই দ্রুত গতিতে সাঁকোটি মেরামত করা হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থায়ী সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা তৈরি করে দ্রুত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর