করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউনের মধ্যে রংপুরের হারাগাছে বসানো হয়েছে খানসামা গরুর হাট।স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে শুক্রবার দিনভর ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে খানসামা হাটে তিলঠাঁই ছিল না।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত রোববার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান মৃধা রংপুরের লালবাগ গরুর হাট বন্ধ করে দেন। ওই দিনই জেলার ৩৫টি গরুর হাটে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কঠোর লকডাউনের নবম দিনে কাউনিয়া উপজেলার প্রধান পশুর হাট খানসামায় দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। দেশি গরুর পাশাপাশি হাট ভরে ওঠে ভারতীয় গরুতে।হাটে সারি সারি গরু সাজানো, পাশে মানুষের দীর্ঘ লাইন। এক পাশে চলে ছাগল-ভেড়া বেচাকেনা, সেখানেও জনসমাগম। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার জটলা ছিল চোখে পড়ার মতো।
গরু কিনতে আসা পল্লীমারি এলাকার শফিকুল আলম বলেন, ‘শুনেছি খানসামা হাট বসছে, ফাঁক ফাঁক করি মানুষ দাঁড়াইছে। কিন্তু আসি দেখি উল্টা, মানুষ কিচ্ছু মানে নাই। আগে তো জীবন নাকি, বাঁচলে কোরবানি দিবের পারব। আজ গরু কিনি নাই, হাটে স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানতেছে না। মাস্কবিহীন অনেক লোক চলাচল করছে।’
শরিফুল নামের এক ক্রেতা জানান, গরুর হাটে কোনও স্বাস্থ্যবিধি নেই। মানুষের সঙ্গে মানুষ গা ঘেঁষে আছে। গরুর হাটের চা দোকানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড়।
ঢাকা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী মাহমুদুর রহমান জানান, লকডাউনে তো গবাদিপশুর হাট বসছে। সামনে কোরবানির ঈদ। তাই খানসামা হাটে গরু কিনতে এসেছেন। তবে অন্য এলাকার মতো এখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।খানসামা পশুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে আহ্বান করেছি। যারা এসব মানছেন না, তাদের হাটে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। যার মুখে মাস্ক নেই, তাকে আমরা মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছি।’কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহামিনা তারিন বলেন, ‘কঠোর লকডাউনে উপজেলার কোথাও হাট না বসাতে ইজারদারদের বলা হয়েছে। সরকারের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কেউ হাট বসালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান মৃধা জানান, হাট বসতে পারবে না, এমন নির্দেশনা আছে। কেউ বসালে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।