উজানের ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে হুমকির মুখে পড়েছে ডাউয়াবাড়ি এলাকায় নদীর ডান তীরের বাঁধ। পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।
শুক্রবার বিকেলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর ওই স্থানে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করে বেলা ৩টার দিকে ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
তিস্তার পানিতে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ২২টি চরের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, উজানের ঢলের কারণে বাঁধ বাঁচাতে ৪৪টি জলকপাটের সবগুলো রাতেই খুলে দেয়া হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ডাউয়াবাড়ি এলাকার ডান তীরে প্রধান বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বাঁধ রক্ষায় সেখানে বালুর বস্তা, কাঠ ও বাঁশের পাইলিং করা হচ্ছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়া মানুষদের সরিয়ে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে।
রাতেই পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, ঝিঞ্জির পাড়ার বেশ কিছু গ্রাম হাঁটু থেকে কোমরপানিতে তলিয়ে যায়। তার এলাকার চরখড়িবাড়ি মৌজাটিও চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানান, কিছামত ছাতনাই, ঝাড় শিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, ছোটখাতা বাইশ পুকুর, ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ি এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সেখানকার মানুষ গবাদিপশুসহ নিরাপদ স্থানে সরে গেছে।
এদিকে ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের ২০০ পরিবারের মাঝে দুপুরে শুকনা খাবার বিতরণ করে উপজেলা প্রশাসন।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান, উপ-প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম, ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।