করোনা মহামারির মধ্যে চারটি মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) পদ শূন্য থাকায় বিপাকে পড়েছে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অচল হয়ে পড়েছে হাসপাতাল ল্যাবের কার্যক্রম।
জোড়াতালি দিয়ে চলছে হাসপাতালের প্যাথলজির কাজ। ধার করা লোক দিয়ে জরুরি কাজ সম্পন্ন করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো সমাধান হয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সদর হাসপাতালে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের (ল্যাব) পদ চারটি। এর মধ্যে দুটি পদ শূন্য। বাকি দুটি পদে কর্মরত দুজনই প্রেষণে আছেন।
এর মধ্যে ফরিদ শেখ গত বছরের ১১ নভেম্বর ঢাকার আইডিসিআরে এবং খোকন সরকার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে প্রেষণে রয়েছেন।
বর্তমানে হাসপাতালে একজনও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট না থাকায় বিঘ্ন ঘটছে প্যাথলজির কাজের। কোনো রকম কাজ চালিয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কখনও কখনও নন-টেকনিক্যাল লোক দিয়েও বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহসহ নানা কাজ করাতে হচ্ছে।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দীপক কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘হাসপাতালে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট না থাকায় আপাতত সিভিল সার্জন কার্যালয়ের টেকনোলজিস্ট শহিদুল ইসলামকে দিয়ে ল্যাবের কাজ করাচ্ছি। শহিদুলের সঙ্গে আরও কয়েকজন আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জনের কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ, ৬০-৭০ জনের প্যাথলজি পরীক্ষা ও ১০-১৫ জনের ব্লাড ব্যাগ স্ক্রিনিং করতে হয়। লোকবল না থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
এরই মধ্যে রাজবাড়ী জেলায় করোনার প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় শূন্যপদ পূরণ এবং প্রেষণে থাকা দুই মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের প্রেষণাদেশ বাতিল চেয়ে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ৯ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠির এখনও উত্তর আসেনি।
একই বিষয়ে ১১ মার্চ রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন মোহাম্মাদ ইব্রাহীম টিটন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দেন। এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমাদের পাঠানো চিঠির এখনও উত্তর আসেনি।’