শেরপুরে করোনার প্রথম ঢেউয়ের রেকর্ড ভেঙেছে দ্বিতীয় ঢেউ। জেলায় বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এক দিনে শেরপুরে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭১টি। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের।
এ ছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সংক্রমণ মোকাবিলায় জেলায় ১১ জুন থেকে আংশিক ও ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। তারপরও থামছে না সংক্রমণ।
এমন অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন জেলার প্রতিটি পৌরসভা ও ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে করোনা প্রতিরোধ কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
৭ জুলাই জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা বসে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ নিউজবাংলাকে জানান।
সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ইউপি মেম্বারদের প্রধান করে স্বাস্থ্যকর্মী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এ কমিটি করা হবে। এ কমিটি মানুষকে সচেতন করবে, লকডাউন ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, শেরপুরে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জেলা সদর হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। চলমান লকডাউনেও করোনার ভয়াবহতা নিয়ে গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মানুষের উদাসীনতার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
সবাইকে এখনই সচেতন হতে হবে। তাই করোনার নিয়ন্ত্রণ ও বিস্তার রোধে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলেন তিনি।
সবশেষ এক দিনে আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৬২ জন, শ্রীবরদিতে ৮ জন, নালিতাবাড়িতে ১৪ জন, নকলায় ১০ ও ঝিনাইগাতিতে ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।