করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারা দেশে চলমান কঠোর লকডাউনে নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। বাইরে বের হওয়ায় কড়াকড়িসহ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জরিমানার পাশাপাশি কারাদণ্ডও দেয়া হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে লালমনিরহাটে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কেনার সময় কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েই পণ্য কেনা-বেচা চলছে।
প্রশাসনও নিরব। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেয়া যায়নি তাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসের সামনের বিদ্যালয়ের মাঠে টিসিবির পণ্য নিতে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। শত শত মানুষ টিসিবির চিনি, তেল ও ডালের ৬২০ টাকার প্যাকেজ কিনতে যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েন।
এ জেলায় বুধবারও করোনায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৪১ জন। এমন পরিস্থিতিতে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা এক স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘জনগণের সাথে তামাশা শুরু করেছে প্রশাসন। এটি কি কোনো সামাজিক দূরত্ব? কোথায় প্রশাসন?
‘এত লোকের জমায়েত, ফোন দেয়ার পরও একবারও আসল না। এটা কোনো সিস্টেম হতে পারে না।’
ডিলার বিপ্লব বলেন, ‘আমি ৩ ফুট দূরে থেকে পণ্য নিতে বললেও কোনো কথাই শুনছে না মানুষ। সেজন্য দুইবার পণ্য দেয়াই বন্ধ করি, কিন্তু বাঁধাই মানছে না মানুষ।
‘পরে প্রশাসনের কেউ না আসায় এক প্রকার বাধ্য হয়ে চাল-ডাল দিই। প্রশাসনের তরফ থেকে সহযোগিতা করলে ভালো করে বিতরণ করা যেত।’
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও আব্দুল মান্নানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।