নওগাঁর সাপাহারে সাপের কামড়ে সিদ্দিকা বেগম সুখী নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার আরেক গ্রাম থেকে এক বৃদ্ধাকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার রাতে সাপের কামড়ে গুরুতর অসুস্থ হন তারা। মৃত সুখী উপজেলার খঞ্জনপুর গ্রামের হাসমত আলীর স্ত্রী। আহত ৬৫ বছরের খোতেজা বিবির বাড়ি একই উপজেলার কোচকুড়িলিয়া গ্রামে।
সুখীর পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী-সন্তান নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমানোর সময় সুখীর বাম হাতের আঙুলে সাপে ছোবল দেয়। পরে তার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় এক ওঝাকে ডেকে আনেন।
সারা রাত ঝাড়ফুঁকের পর অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে বুধবার রাত ৪টার দিকে খোতেজাকে সাপে কামড়ালে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, ‘সিদ্দিকা বেগমকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। আরও আগে আনা হলে হয়তো বাঁচানো যেত।
‘আর আহত খোতেজা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছি। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঠিক কী ধরনের সাপ কামড় দিয়েছে, সেটি দুই পরিবারের কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে কোনো বিষধর সাপ হবে।’