বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মধ্যরাতে অক্সিজেন পৌঁছাল পুলিশ, বাঁচানো গেল না তাতেও

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২১ ১৯:৫৬

‘ওসি স্যারের নির্দেশে রাত পৌনে ৩টার দিকে ওই শিক্ষিকার বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাই। আমি নিজেই বেশ কিছুক্ষণ থেকে সব ঠিক করে দিয়ে আসি। কিন্তু সকালে ওসি স্যার জানালেন ওই শিক্ষিকা মারা গেছেন। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক।’

মধ্যরাতে অক্সিজেন শেষ হয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা এলাকার শিক্ষিকা শিখা বড়ুয়ার। বাড়ির একমাত্র পুরুষ সদস্য তার স্বামীও গুরুতর অসুস্থ।

চট্টগ্রামের বাইরে থাকা ছেলে মায়ের শ্বাসকষ্টের কথা জানতে পেরে যোগাযোগ করেন এক সাংবাদিকের সঙ্গে। তিনি পুলিশকে যখন জানান ততক্ষণে বেজে গেছে রাত ৩টা।

দ্রুতই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে পৌঁছে যায় পুলিশ। তবে অক্সিজেন পেলেও বাঁচানো যায়নি শিক্ষিকা শিখাকে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি পটিয়ার বড়িয়া এলাকার ডা. বিমলেন্দু বড়ুয়ার স্ত্রী।

এ দম্পতির করোনার উপসর্গ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তারা করোনার নমুনা পরীক্ষা করাননি।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে সাংবাদিক শুকলাল দাশের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। দ্রুত লোকেশন চিহ্নিত করে আমাদের একজন অফিসার ঘটনাস্থলে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যান।

‘তিনি নিজে বেশ কিছুক্ষণ সেখানে থেকে সবকিছু ঠিক করে আসেন। কিন্তু সকালে জানতে পারি, তিনি মারা গেছেন।’

সাংবাদিক শুকলাল দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই শিক্ষিকা আমার বন্ধুর মা। আমার বন্ধু চট্টগ্রামের বাইরে থাকায় কোনো উপায় না পেয়ে আমার মাধ্যমে থানায় যোগাযোগ করেন।

‘তাৎক্ষণিক অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ডবলমুরিং থানার এক উপপরিদর্শক। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সকালে আমার সেই বন্ধুর মা মারা গেছেন।’

ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক ওয়াহিদুল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওসি স্যারের নির্দেশে রাত পৌনে ৩টার দিকে ওই শিক্ষিকার বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাই। আমি নিজেই বেশ কিছুক্ষণ থেকে সব ঠিক করে দিয়ে আসি।

‘কিন্তু সকালে ওসি স্যার জানালেন ওই শিক্ষিকা মারা গেছেন। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক।’

এ বিভাগের আরো খবর