সিলেট-৩ আসনে উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে ফের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক।এবার এই আসনে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আতিক। এতে চলমান শাটডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করে নির্বাচনি প্রচার চালানোর অভিযোগ এনেছেন হাবিবের বিরুদ্ধে।সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এম কাজী এমদাদুল ইসলামের কাছে বুধবার দুপুরে আতিকের পক্ষে অভিযোগটি করেন তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব মঈন ও মামুনুর রশীদ মামুন।এরআগে হাবিবের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন আতিক। তবে শুনানি শেষে আতিকের ওই অভিযোগ খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আতিক।বুধবারের অভিযোগে আতিকের নির্বাচন পরিচলানা কমিটির নেতারা উল্লেখ করেন, সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য নির্বাচন কমিশন সমান সুযোগ সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া এই করোনা পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউন চলাকালে সিলেট-৩ আসনেরর উপ নির্বাচনে গত ১ জুলাই থেকে সব ধরনের প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশনা মেনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আতিকুর রহমানসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সব ধরনের প্রচার থেকে বিরত রয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাচনি এলাকার তিনটি উপজেলাতেই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।এতে আরও অভিযোগ করা হয়, হাবিবের প্রচার ছবিসহ ভিডিও ফেইসবুকে পোস্ট করছেন তার কর্মীরা। এমনকি হাবিব নিজে সব কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে বক্তব্যও দিয়েছেন। বিষয়টি আতিকুর রহমান আতিকের কর্মী সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী এবং জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের সব স্তরের কর্মীদের নজরে এসেছ। এতে আতিকুর রহমানের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনি বিধিমালা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।এ বিষয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আতিক রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন।অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমানের বক্তব্য জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।করোনায় আক্রান্ত হয়ে সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই আসনে আগামী ২৮ জুন উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে হাবিব আতিক ছাড়াও আরও দুজন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হলেও শাটডাউন চলাকালে সব ধরনের প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।তবে শাডাউন জারির পর থেকেই হাবিব বিভিন্ন জায়গায় জনসমাগম করতে দেখা গেছে। প্রতিদিনই নির্বাচনি প্রচারের একাধিক ছবি নিজের ফেসবুকে আপ দিচ্ছেন হাবিব। এসব ছবিতে বিধিনিষেধ অমান্য করে ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে সমাগম করতে দেখা গেছে।গত ৩ জুলাই নিউজবাংলায় প্রবকাশিত ‘জনতাকে জরিমানা, নেতার সমাগমে ‘নেই মানা’ শিরোনামে প্রতিবেদনেও শাটডাউন চলাকালে হাবিবের সমাগম ও প্রচারণা চালানোর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।