ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মাহবুবুল আলম মনিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা যুবলীগ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এ এইচ এম সালেহীন মামুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধরের ঘটনায় মনিরের নামে মামলা করেন ওই চিকিৎসক। ফলে জরুরি ভিত্তিতে জেলা যুবলীগের নেতারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন। দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে মনিকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ডিউটিতে ছিলেন চিকিৎসক এ এইচ এম সালেহীন মামুন। যুবলীগ সভাপতি মনি দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালের নম্বরে ফোন করে বলেন, তার মায়ের করোনার উপসর্গ আছে। বাসায় গিয়ে তার নমুনা নিতে হবে।
ডা. মামুন তাকে জানান, বাসায় গিয়ে নমুনা নেয়ার নিয়ম নেই, রোগীকে হাসপাতালে আনতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর যুবলীগ নেতা মনি ও তার সহযোগীরা হাসপাতালে গিয়ে দরজা আটকে চিকিৎসককে মারধর করেন।
মঙ্গলবার রাতেই চিকিৎসক সালেহীন বাদী হয়ে মামলা করেন। অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্যে বুধবার বেলা ১১টার দিকে কামরুজ্জামান, জুয়েল, রানা দে ও শরীফ নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ওই দিন বিকেলে মনিসহ ওই চারজনকে ময়মনসিংহের মুখ্য বিচারিক হাকিম দ্বিতীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক ইমাম হাসান বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান বলেন, চিকিৎসক, পুলিশ এবং সাংবাদিকরা হচ্ছে করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধা। তাদের ওপর আঘাত কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। সে যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে।