বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা আক্রান্তদের পাশে মুশা মিয়া

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২১ ০১:১৩

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার মুশা মিয়ার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘জেলা, উপজেলাতে যদি এভাবে করোনা আক্রান্তদের সহায়তায় সামর্থবানরা এগিয়ে আসেন তাহলে মহামারির বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হব। কেউ দুর্যোগের এই সময়ে অনাহারে বা বিনা চিকিৎসার ভুগবে না। করোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ আমাদের সকলের। সবাই মিলে কাজ করলে অবশ্যই আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হব।’

ফোন করে কোনো করোনা রোগীর অসহায় পরিবার জরুরি অক্সিজেনের চাহিদা জানালে সেই বাড়িতে বিনামূল্যে পৌঁছে দেয়া হয় অক্সিজেন সিলিন্ডার। একই সঙ্গে আক্রান্তের জন্য ভিটামিন-সি যুক্ত ফলমূল, করোনা সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, মাস্ক ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেয়া হয়।

করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকে এমনভাবে মানবিক দায়িত্ব পালন করছেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের তিন বারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া।

তিনি নিজ এলাকায় করোনা রোগীদের পাশে থাকতে পুরোপুরি ব্যক্তি উদ্যোগে এমন মানবিক সহায়তা কর্মসূচি শুরু করেন। তার পক্ষ থেকে একদল স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার, সুরক্ষা সামগ্রী, ফলমূল ও ওষুধ পৌঁছে দেন।

এই স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম বাকের ইদ্রিস বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিনামূল্যে দেয়া শুরু হয়েছে। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীকে জরুরী অক্সিজেন দিয়ে সহায়তা করছি আমরা।’

বোয়ালমারীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার জহুরুল হক জানান, এই দুর্যোগে শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। যাদের আর্থিক সামর্থ রয়েছে তাদেরকেও কিছু সামাজিক ও মানবিক কাজ করতে হবে। মুশার পরিবার স্বাধীনতার পর থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। যে কারণে তার ওপর মানুষের দাবি অনেক।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খালেদুর রহমান মিয়া বলেন, ‘আমাদের উপজেলা হাসপাতালে এমনিতেই অক্সিজেনের স্বল্পতা রয়েছে। এ অবস্থায় করোনা রোগীদের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের বিনামূল্যে অক্সিজেন সহায়তা ও ভিটামিন-সি যুক্ত ফলমূল দেওয়া একটি ব্যতিক্রমী মানবিক সহায়তা।’

করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠিয়ে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুশা মিয়া। ছবি: নিউজবাংলা

বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া বলেন, ‘এবছর আমি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে এলাকায় এ পর্যন্ত জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ৪ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত পরিবারে ফলমূল, সুরক্ষা সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দিয়েছি।

‘গত বছর করোনা শুরু হলে আমি একইভাবে কয়েক হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে চাল, ডাল ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে গিয়ে আমিও করোনায় আক্রান্ত হই। এবছর একদল স্বেচ্ছাসেবক এ কাজে আমাকে সহায়তা করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি করোনায় আক্রান্ত ছিলাম তখন সেই কষ্টের কথাটি মনে করে মানুষের বিপদে এগিয়ে এসেছি। যারা বিত্তবান তাদেরও এমন সেবায় এগিয়ে আসা দরকার।’

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার মুশা মিয়ার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘জেলা, উপজেলাতে যদি এভাবে করোনা আক্রান্তদের সহায়তায় সামর্থবানরা এগিয়ে আসেন তাহলে মহামারির বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হব। কেউ দুর্যোগের এই সময়ে অনাহারে বা বিনা চিকিৎসার ভুগবে না। করোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ আমাদের সকলের। সবাই মিলে কাজ করলে অবশ্যই আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হব।’

গত ২৪ ঘন্টায় ফরিদপুর পিসিআর ল্যাবে ৩৭৩টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭৯ জনের শরীরে। আর এই সময়ে মারা গেছে ৬ জন। শনাক্তের হার ৪৮ শতাংশ।

এছাড়াও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের আইসিইউ ওয়ার্ডে ১৫ জন এবং সাধারণ করোনা ওয়ার্ডে আরও ২৮২ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ বিভাগের আরো খবর