করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই মানিকগঞ্জে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গাদাগাদি করে দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিলি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের শহীদ রফিক সড়কের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে করোনায় অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা।
খাদ্য সহায়তা পেতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষায় ছিলেন শতাধিক অসহায় ও দুস্থ মানুষ। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো চেষ্টাই ছিল না।
দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা শেষে কার্যালয়ের ভেতরেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে গাদাগাদি করে কয়েকজনের হাতে তুলে দেয়া হয় খাদ্য সহায়তা। এরপর সাহায্য পেতে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, হট্টোগোল।
আলোচনা সভায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নরুল ইসলাম রাজা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন, জেষ্ঠ্য সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম হেলাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট বাদরুল ইসলাম বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামসহ দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েকজনকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। বাকি লোকজনের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে।’
স্বাস্থ্যবিধি উপক্ষোর ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন বলেন, ‘আসলে হঠাৎ করে অনুষ্ঠান করছে তো। তবে এটা খুব খারাপ করছে। বার বার নেতা-কর্মীদের বলার পরেও এটা মেইনটেন করে নাই।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধির বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা সংক্রমণের হার বাড়বে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে।’
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় বুধবার মোবাইল কোর্টে পরিচালনা করে ৪৯ ব্যক্তিকে ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। তবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না।’