বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫ পাটকল ইজারা নিতে আগ্রহী দুই বিদেশি কোম্পানি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ জুলাই, ২০২১ ২২:৫৩

খুলনার ক্রিসেন্ট, ইস্টার্ন, দৌলতপুর, জেজেআই ও কার্পেটিং মিলের জন্য ভারতের মোহন জুট ও প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল দরপত্র জমা দিয়েছে। ৯৯ বছর মেয়াদে এসব মিল ইজারা দেয়া হবে।

খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি পাটকল ইজারা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন (বিজিএমসি) এর চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বুধবার বিকেলে নিউজবাংলাকে এই তথ্য জানান।

তিনি জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্ধ পাটকল পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যক্তি ও বেসরকারিখাতে ইজারা দিতে ১৪টি পাটকলের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে খুলনার ৯টি পাটকল রয়েছে।

এগুলোর মধ্যে ক্রিসেন্ট, ইস্টার্ন, দৌলতপুর, জেজেআই ও কার্পেটিং মিলের জন্য ভারতের মোহন জুট ও প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল দরপত্র জমা দিয়েছে। ৯৯ বছর মেয়াদে এসব মিল ইজারা দেয়া হবে।

তবে খুলনার প্লাটিনাম জুবিলী, খালিশপুর ও স্টার জুট মিলের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের সাড়া মেলেনি। আর আলিম জুট মিল নিয়ে মামলা চলায় দরপত্র আহ্বান করা হয়নি।

গত ১৭ জুন দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। সারা দেশের ১৪টি পাটকল ইজারা নেয়ার জন্য ৫১টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের দরপত্র জমা পড়ে।

আব্দুর রউফ আরও জানান, বন্ধ পাটকলগুলো পুনরুজ্জীবিত করতেই এগুলো বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু হবে। তবে এগুলোর মালিকানা থাকবে সরকারের হাতেই থাকবে। ইজারা গ্রহিতারা চালু করতে না পারলে মিলগুলো তাদের কাছ থেকে ফেরত নেয়া হবে।

বিজেএমসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘পাঁচটি মিল লিজ (ইজারা) নিতে ভারতের মোহন জুট ও প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল দরপত্র জমা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি দরপত্রের শর্ত পূরণ করলে তাদের ইজারা দেয়া হবে। আশা করা হচ্ছে সব প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছর মিলগুলো উৎপাদনে যাবে।’

বিজেএমসির খুলনা জোনের মহাব্যবস্থাপক মো. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ গতবছর অক্টোবরে প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল লিজ নেয়ার জন্য চীনের একটি প্রতিষ্ঠান এবং ক্রিসেন্টসহ অন্য জুট মিলগুলো লিজ নেয়ার জন্য করিম গ্রুপের প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে। কিন্তু পরে তারা পিছিয়ে যায়। বন্ধ মিলগুলোর শ্রমিকদের এক হাজার দুই কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। মিলগুলোর উৎপাদিত সব পাটজাতপণ্য বিক্রি হয়ে গেছে।’

ক্রিসেন্ট জুট মিলের প্রকল্প প্রধান খান কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধুমাত্র মিলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিদ্যুৎ, টেলিফোন, পানি ও কর্মচারীর বেতন বাবদ প্রতি মাসে এক কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। রূপলী ব্যাংকের শামস ভবন শাখায় এ মিলের দেনা চার শ কোটি টাকা।’

এ বিভাগের আরো খবর