ঝিনাইদহের মহেশপুরে এক চিকিৎসককে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধরের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে বুধবার বিকেলে ভিডিওটি ফেসবুকে আসে।
হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত রোববার রাত দেড়টার দিকে জুয়েল রানা নামের এক যুবক বুকের ব্যথা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতালে আসেন। সে সময় জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন নাফিজ আহম্মদ।
তিনি জুয়েলকে দেখে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে তার স্ত্রীকে বলেন হাসপাতালের ওপর তলার বেডে নিয়ে যেতে। পরদিন জুয়েলের কিছু টেস্টের কথা বলেন।
কিন্তু এ সময় জুয়েলের স্ত্রী তানিয়ার সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।
এরপর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশ এবং তার সহযোগী ইসরাফিল হোসাইন বাবু, সাদ্দাম হোসেন ও আমির হোসেন জরুরি বিভাগের সামনে এসে ওই ডাক্তারকে ডেকে মারধর করে।
- আরও পড়ুন: চিকিৎসককে মারধর, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের সামনে ডাক্তার নাফিজের সঙ্গে একদল যুবকের তর্কবিতর্ক হচ্ছে। একপর্যায়ে তারা লাঠি দিয়ে নাফিজকে মারতে শুরু করে। তিনি ভেতরে চলে যেতে চাইলে জামা ধরে টেনে এনে আবার কিলঘুষির সঙ্গে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে।
ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশের দাবি, মহেশপুরের নাটিমা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গেলে ওই ডাক্তার তার স্ত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এজন্য তাকে একটু বকাবকি করা হয়েছে।
সিসিটিভির ফুটেজের কথা বলতেই তিনি কল কেটে দেন।
এ বিষয়ে নাফিজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন ও বিএমএ নেতাদের জানিয়েছিলাম। উনারা এসেছিলেন। যারা মারধর করেছে, তারা তাদের ভুল স্বীকার করে আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। বিষয়টি এই পর্যন্তই আছে।’
ঝিনাইদহ জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আল মামুন বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেরা বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধান করে দিয়েছেন।’