ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে মারধরের মামলায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতিসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ইমাম হাসান তাদের বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের আদালতের পুলিশ পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস।
তিনি জানান, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে যুবলীগ নেতা মাহবুবুল আলম মনিসহ পাঁচজনকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাদের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে বিচারক ইমাম হাসান জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে উপজেলার নাপিতখোলা মোড় থেকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্যে বুধবার বেলা ১১টার দিকে কামরুজ্জামান, জুয়েল, রানা দে ও শরীফ নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মুক্তাগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ডিউটিতে ছিলেন চিকিৎসক এ এইচ এম সালেহীন মামুন। যুবলীগ সভাপতি মনি বেলা ১টার দিকে হাসপাতালের নম্বরে ফোন করে বলেন, তার মায়ের করোনার উপসর্গ আছে। বাসায় গিয়ে তার নমুনা নিতে হবে।
ডা. মামুন তাকে জানান, বাসায় গিয়ে নমুনা নেয়ার নিয়ম নেই, রোগীকে হাসপাতালে আনতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর যুবলীগ নেতা মনি ও তার সহযোগীরা হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসককে মারধর করেন।
মঙ্গলবার রাতেই ওই চিকিৎসক থানায় মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মারধরের প্রতিবাদে বুধবার সকালে ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আহমার উজ্জামান বলেন, ‘চিকিৎসক, পুলিশ এবং সাংবাদিকরা হচ্ছেন করোনা সময়ের সম্মুখসারির যোদ্ধা। তাদের ওপর করা অন্যায় কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। যে বা যারা এই কাজ করুক, তাদের আইনের আওতায় আসতেই হবে।’