হবিগঞ্জের মাধবপুরের প্রবাসী স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই নারীর স্বজনদের অভিযোগ, দেশে আসার দেড় মাসের মাথায় ফিরে যেতে চাওয়ায় তাকে হত্যা করেন স্বামী তকবীর হোসেন।
মাধবপুরের বুল্লা ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামে মঙ্গলবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে পলাতক তকবীর।
নিহত নারীর নাম পারভীন আক্তার। তার স্বামী তকবীরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া হলেও বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর বাবার বাড়িতেই থাকছিলেন।
তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।
স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, প্রায় ৬ বছর আগে পারভীন ও তকবীরের বিয়ে হয়। তারা ছিলেন আপন খালাতো ভাইবোন। বিয়ের পর তকবীর শ্বশুর বাড়িতে চলে আসেন। এক বছর পর পারভীন কাজের সুযোগ পেয়ে সৌদি আরব চলে যান। দেড় মাস আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এর পর আবার চলে যেতে চাইলে তকবীর তাকে বাধা দেন।
ওসি জানান, এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। মঙ্গলবার রাতেও এ নিয়ে তর্কাতর্কি হয় দুজনের। ভোররাতের দিকে ঘুমন্ত স্ত্রীর গলা কেটে পালিয়ে যান তকবীর। পরিবারের সদস্যরা পারভীনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, তকবীরকে আটকের চেষ্টাও চলছে বলে জানান ওসি রাজ্জাক।