ফেনী জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি (বিএমইটি) অফিসের সামনের দোকান থেকে টিকার নিবন্ধন করতে আসা প্রবাসীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
ডিসি আবু সেলিম মাহমদু উল হাসানের নির্দেশে মঙ্গলবার সকালে অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। এ ছাড়া সব পণ্য বাজারমূল্যে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশনা বাস্তবায়নে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকেও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া প্রবাসীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিনা মূল্যে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাবার পানি, কলম, বিস্কুট ও বসার ব্যবস্থা করা হয়।
এর আগে নিউজবাংলাসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে টিকার নিবন্ধন করতে আসা প্রবাসীদের ভোগান্তি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে মোবাইল নম্বর লেখার জন্য ১০ টাকা কলম ভাড়া আদায়সহ স্ট্যাপলার ও প্রতি কপি ফটোকপিতে ১০ টাকা নেয়ার বিষয়টি উঠে আসে।
বিষয়টি ফেনী জেলা প্রশাসকের নজরে আসলে তিনি মঙ্গলবার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে দোকানপাট বন্ধ। পাশাপাশি প্রাবাসীদের ভিড়। এমন পরিস্থিতিতে টিকা নিবন্ধনে অপেক্ষমাণ প্রবাসীদের ন্যূনতম চাহিদা পূরণে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
‘স্কাউটসের একটি দল এখানে সেবা দিচ্ছে। প্রবাসীরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তারা আমাদের সম্পদ। তাদের সম্মান দেখাতে হবে।’
এ উদ্যোগের পর জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবদুল আজীজ নামে এক প্রবাসী বলেন, ‘আপনাদের মূল্যায়নই আমাদের পরিশ্রমের সার্থকতা।’
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সৌদি আরব ও কুয়েতগামীদের করোনার টিকা দিতে বিএমইটির ডাটাবেজে নিবন্ধন চলছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩ এবং ৪ জুলাই ফেনীতে প্রবাসীদের নিবন্ধনের তারিখ দেয়া হয়। তবে সার্ভার জটিলতার কারণে সোম ও মঙ্গলবারও নিবন্ধন কার্যক্রম চলে।