ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মসজিদভিত্তিক মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকাকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইমামের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ওই ইমাম ওয়াহেদুর রহমান মুরাদকে সোমবার সন্ধ্যায় র্যাব আটক করে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশে দিয়েছে। পরে তাকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
র্যাব জানায়, হারাগাছ ফরিয়াটারী গ্রামে একটি জামে মসজিদের ইমাম ওয়াহেদুর রহমান। একই সঙ্গে তিস্তা চরাঞ্চল এলাকায় মসজিদভিত্তিক একটি নুরানি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি সুবাদে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওয়াহেদুর।
গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ওয়াহেদুর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন।গোপনে ভিডিও ধারণ করেন। এরপর সেই ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
র্যাবের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, ওই নারী গত ৫ জুলাই র্যাবে অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় র্যাব ৫ জুলাই সন্ধ্যায় রংপুর মহানগরীর হারাগাছের দালাল হাট আওয়াল পাড়া গ্রাম থেকে ওয়াহেদুরকে আটক করে।
মাহমুদ বশির আহমেদ দাবি করেন, ওয়াহেদুর ওই নারীর সঙ্গে অনৈতিক সর্ম্পক স্থাপন এবং বিভিন্ন সময় ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধষর্ণ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
রংপুর মেট্টোপলিটন (আরপিএমপি) হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, মঙ্গলবার ওই নারী বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ও পর্নোগ্রাফি আইনের ৮ (১) (২)(৩) ধারায় ওয়াহেদুরকে আসামি করে মামলা করেন। তাকে বিকেলে রংপুর আদালতে পাঠানো হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে ওই নারীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।