নোয়াখালী সদরে পুত্রবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও দুই সৎছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী। মামলার প্রধান আসামি সৎছেলে মো. সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার এওয়াজবালিয়া ইউনিয়নের করমূল্যা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুধারাম মডেল থানার এসআই নুরনবী জানান, উপজেলার উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামে ৩ এপ্রিল সৎছেলে সোহাগের স্ত্রী মারজাহান বেগমকে হত্যার পর বিষপানে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয়।
এ অভিযোগে ১৬ জুন নোয়াখালীর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ নাহিয়ানের আদালতে স্বামী আবদুল খালেক, সৎছেলে সোহাগ ও রাজু এবং সৎমেয়ের স্বামী জামাল উদ্দিনকে আসামি করে মামলা করেন রহিমা বেগম। ওই মামলায় সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রহিমা জানান, হত্যার বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তাকে দুই মাসের বেশি সময় ঘরে আটকে রাখা হয়। কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি আদালতে মামলাটি করেন।
মামলায় বলা হয়, স্বামী আবদুল খালেক, সৎছেলে সোহাগ ও রাজু এবং সোহাগের স্ত্রী মারজাহান ও তার তিন শিশুসন্তান নিয়ে রহিমার সংসার। হত্যার কয়েক মাস আগে সোহাগের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে স্ত্রী মারজাহানের সঙ্গে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে মারজাহানকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতনসহ মেরে ফেলার হুমকি দিতেন সোহাগ।
৩ এপ্রিল দুপুরে বাবার বাড়িতে যান রহিমা। মারজাহান বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে রাত ২টার দিকে মোবাইল ফোনে তাকে জানান আবদুল খালেক। পরদিন সকালে বাড়িতে ফিরে তিনি জানতে পারেন, সোহাগের পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় আসামিরা মারজাহানকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত চার আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর দিতে সুধারাম মডেল থানার ওসি সাহেদ উদ্দিনকে নির্দেশ দেন।
ওসি জানান, মারজাহান হত্যা মামলার প্রধান আসামি সোহাগকে বুধবার সকালে নোয়াখালীর আমলি আদালতে তোলা হবে।