করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার সারা দেশে শাটডাউন ঘোষণা করায় কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের হোটেল ও রেস্তোরাঁ।
এতে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে দিনাজপুর শহরের ভাসমান কুকুরগুলো। দীর্ঘ সময় খাবার না পেয়ে হিংস্র হয়ে উঠছে। মানুষ দেখলেই ছুটে যায় তাদের কাছে। কখনো বিরক্ত হয়ে কখনো আতঙ্কিত হয়ে লোকজন কুকুরগুলোকে মেরে তাড়িয়ে দেয়।
দিনাজপুর শহরের হাজারো ভাসমান কুকুরের খাদ্যের উৎস ছিল বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরার ফেলে দেয়া খাবার। শাটডাউনের ছয় দিনে এক বেলাও ঠিকমতো খেতে পারছে না এগুলো।
শহরের ‘জাগ্রত দিনাজপুর স্বেচ্ছাসেবক টিম’ নামের একটি সংগঠন নিজ উদ্যোগে এসব ক্ষুধার্ত কুকুরকে কিছু খাবার দিলেও তা যথেষ্ট নয় বলে তারাই মনে করছেন। এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষকে তারা সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনটির সদস্য শারমিন আহমেদ নিশু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ১ দিন পর পর শহরের শতাধিক কুকুরকে খাবার দেই। কুকুরগুলোর সঙ্গে আমাদের একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।’
জাগ্রত দিনাজপুর স্বেচ্ছাসেবক টিমের লিডার আফসানা ইমু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস শুরুর পর থেকে আমরা শহরের শতাধিক কুকুরকে কখনো খিচুড়ি, কখনো বিস্কুট বা পাউরুটি কিনে খাওয়াই। তবে এই সংগঠনের পক্ষে পুরো শহরের কুকুরের খাবার সরবরাহ করা সম্ভব নয়। এক দিন পর পর শতাধিক কুকুরকে খাবার দিলেও অন্যান্য কুকুরেরা অভুক্তই থেকে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের পকেটমানির টাকা থেকে এসব কুকুরকে খাবার কিনে দেয়। তবে সমাজের বিত্তবানরা এই অবলা পশুগুলোর জন্য খাদ্য সহায়তায় এগিয়ে আসলে শহরের কুকুরগুলো আর অভুক্ত থাকবে না।’