করোনা রোগীদের চিকিৎসায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মেনিফোল্ড পদ্ধতিতে উচ্চ প্রবাহের অক্সিজেন সরবরাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে এ সেবার উদ্বোধন করেন পাবনা সদর-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
করোনা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় এবং সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় করণীয় নির্ধারণে হাসপাতালের চিকিৎসক ও দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক করেছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
বৈঠকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থার কাজে ধীরগতি এবং বিকল্প উপায়ে বড় সিলিন্ডারে অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা করতে ঠিকাদারের অসহযোগিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ।
পাবনা জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় অক্সিজেনের সরবরাহব্যবস্থার জন্য দরপত্র হয়। চলতি জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত ৪০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। ঠিকাদার কোম্পানি স্প্রেকট্রার প্রতিনিধিদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বারবার তাগাদা দিলেও তারা ধীরগতিতে কাজ করছেন।
সূত্রটির অভিযোগ, সদর আসনের সাংসদও তাদের দ্রুত কাজ শেষ করতে অনুরোধ জানান। কাজ শেষ হওয়ার আগে আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য এক বৈঠকে এক সপ্তাহের মধ্যে বড় সিলিন্ডারের মাধ্যমে পাইপলাইনে উচ্চ প্রবাহের অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেয়ার অঙ্গীকার করেন। অথচ দীর্ঘ এক মাসেও তারা সেটি করেনি। পরে বৃহস্পতিবার গোলাম ফারুক প্রিন্স তাদের শেষবারের মতো সুযোগ দিয়ে মামলার আলটিমেটাম দিলে তারা কাজ শেষ করে।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. সালেহ মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের জন্য কাজ চলছে। গত মাসে তিনটি ওয়ার্ডের শয্যার পাশে অক্সিজেনের সংযোগ পাইপলাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
‘বর্তমানে করোনার ঊর্ধ্বগতির জন্য হাসপাতালে অক্সিজেন-সংকট হওয়ায় সদর আসনের সাংসদ গোলাম ফারুক প্রিন্সের অনুরোধে ১২টি বড় সিলিন্ডার যুক্ত করে শুধু করোনা ওয়ার্ডের রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা উচ্চ প্রবাহের অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সাংসদ গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, ‘করোনা রোগীদের চিকিৎসায় যদিও যথেষ্ট নয়, এরপরেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে চাপ দিয়ে এটি আপাতত চালু করা হয়েছে।’