বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কঠোরতা’ নেই কুড়িগ্রামের লকডাউনে

  •    
  • ৬ জুলাই, ২০২১ ০১:৫৬

সোমবার জেলা সড়কগুলোতে যানবাহনসহ মানুষের সমাগম দেখা গেছে। কিছু দোকানও খোলা হয়। অলিগলিতে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে অনেককে। এ ছাড়া খেলার মাঠ আর সাপ্তাহিক হাটগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।

দেশব্যাপী চলা কঠোর লকডাউনের প্রথম দুই দিন কিছু বিধিনিষেধ মানলেও এখন আর কিছুই মানতে চাচ্ছেন না কুড়িগ্রামের মানুষ। প্রশাসনেরও নেই তেমন কোনো পদক্ষেপ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিজেদের স্বাস্থ্য ও করোনা সম্পর্কে সচেতনতা না থাকায় অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। তবে প্রশাসনও তাদের থামাতে তেমন কিছু করছেন না। অনেকটা দায়সারা টহল দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছে তারা।

সোমবার জেলা সড়কগুলোতে যানবাহনসহ মানুষের সমাগম দেখা গেছে। কিছু দোকানও খোলা হয়। অলিগলিতে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে অনেককে। এ ছাড়া খেলার মাঠ আর সাপ্তাহিক হাটগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।

তবে প্রশাসনের গাড়ির সাইরেন শুনলেই সতর্ক হয়ে যাচ্ছিল সবাই। গাড়ি চলে গেলেই তারা ফিরছিল আগের অবস্থায়।

কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকলেও জেলার উলিপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে পশুর হাট। প্রশাসনের দাবি, সরকার পশুর হাট বন্ধের জন্য কোনো দিকনির্দেশনা দেয়নি।

হাটে অতিরিক্ত লোকসমাগমের বিষয়ে তাদের জবাব, আয়োজক কমিটিকে হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

মাস্ক ছাড়া হাটে প্রবেশে করতে না দেয়ার কথা বলা হলেও সোমবার উলিপুরসহ একাধিক হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা ও বিক্রেতারা গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন। তাদের অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক।

বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ মাঠেও বিনা বাধায় খেলছে তরুণরা। তাদের একজন বলে, ‘আমরা শুনেছি পরিশ্রমের কাজ করলে করোনা হয় না। এজন্য খেলাধুলা করছি।’

গলির ভেতর আড্ডা দেয়া এক তরুণ বলেন, ‘আমরা নিজেদের এলাকায় অবস্থান করছি, এতে সমস্যা কোথায়। আপনারা সাংবাদিকরা সব কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন।’

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবীব নীলু বলেন, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সারা জেলায় টহল দিলেও মানুষ নিজে সচেতন নয়। জোর করে তো মানুষকে ঘরে আটকে রাখা যায় না। অলিগলিতে লোকজন হাল্কা মেজাজে আড্ডা মারছেন। এ ছাড়া হাট-বাজারগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উলিপুরের পশুর হাট নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, ‘গরুর হাট বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা নেই। একটু আগে জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলেছি।

‘ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা পর্যবেক্ষণে হাটে আমাদের টহল বাহিনী উপস্থিত আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর