বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভুয়া শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদাবাজি’

  •    
  • ৬ জুলাই, ২০২১ ০১:২০

জুন মাসের ১২ তারিখে চাঁদাবাজি বন্ধে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন ভোলায় তিন সদস্যের একটি কমিটি দিয়ে ১০ জন দক্ষ লাইনম্যান (লোকাল/ভিট পাইলট) নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়নের নামে সদর উপজেলার তুলাতুলি মাছঘাট এলাকার আসলাম, প্রিন্স বাবু, ভুট্টু, মফিজ মাঝিসহ একটি চক্র নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নিয়োগকৃত লাইনম্যানদের জাহাজে উঠতে বাধা দেন।

ভোলায় বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন নামের একটি সংগঠনের নাম দিয়ে মেঘনা নদীতে মালবাহী কার্গো জাহাজ থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে।

সিলেট থেকে আসা চট্টগ্রামগামী মালবাহী কার্গো জাহাজ ভোলার মেঘনা নদীতে পৌঁছলে চক্রটি ট্রলার দিয়ে জাহাজে উঠে জোরপূর্বক লাইনম্যান (পথপ্রদর্শক) দেয়ার নামে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।

জাহাজের লোকজন লাইনম্যান নিতে অপারগতা জানালে তাদেরকে মারধর ও হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে চক্রটির বিরুদ্ধে।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোলার একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের ভোলা জেলার নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনের সভাপতি মো. রোমান পাটওয়ারী লিখিত বক্তব্যে জানান, স্থানীয়রা চাঁদাবাজ চক্রের এক সদস্যকে আটক করে ভোলা সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে মুচলেকা দিয়ে সে ছাড়া পায়। অভিযোগ আছে এতোদিন এ চক্রটি পরিচালনা করতেন সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ফারুক মাঝি। বর্তমানে পরিচালনা করছেন তুলাতুলি ঘাটের আসলাম।

তিনি আরও জানান, জুন মাসের ১২ তারিখে চাঁদাবাজি বন্ধে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন ভোলায় তিন সদস্যের একটি কমিটি দিয়ে ১০ জন দক্ষ লাইনম্যান (লোকাল/ভিট পাইলট) নিয়োগ করেন। কিন্তু বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়নের নামে সদর উপজেলার তুলাতুলি মাছঘাট এলাকার আসলাম, প্রিন্স বাবু, ভুট্টু, মফিজ মাঝিসহ একটি চক্র নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নিয়োগকৃত লাইনম্যানদের জাহাজে উঠতে বাধা দেন।

সিলেট থেকে বালু, পাথরসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে ভোলার মেঘনা নদী দিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে থাকে জাহাজ। এগুলোকে সঠিক পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন স্থানীয় লাইনম্যান (পথপ্রদর্শক) প্রয়োজন হয়। এ জন্য বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন ১০ জন দক্ষ পাইলট নিয়োগ দেয়। কিন্তু স্থানীয় একটি চক্র নিয়োগকৃত পাইলটদের জাহাজে উঠতে দেয় না। উল্টো জাহাজে অদক্ষ লোক দিয়ে জাহাজ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

বিষয়টি নিয়ে আমরা ভোলার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পরে পুলিশ সুপার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেনকে দায়িত্ব দেন।

এ অবস্থায় ওসি উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বললেও চক্রটি কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসেনি।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ সিকদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র শ্রমিক ইউনিয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে ভোলার মেঘনা নদীতে মালবাহী জাহাজে চাঁদাবাজি করে আসছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসলাম গোলদার বলেন, জাহাজের মাষ্টার-সুকানী ও জাহাজ মালিককে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে তারা দক্ষ লাইম্যানদের একত্রিত করে কমিটি গঠন করেছেন।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, এর আগে একজন এসআইয়ের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বললে তাদের এক পক্ষ না আসায় তা সমাধান করা যায়নি। পরে আমি নিজে উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে (মঙ্গলবার) পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসতে বলেছি।

এ বিভাগের আরো খবর