জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগে স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিউটি বেগম এক নারী।
আসামিরা হলেন বিউটির স্বামী সুলতান কাজী, তার দ্বিতীয় স্ত্রী তারা বানু এবং তারা বানুর ছেলে মোস্তফা।
তারা বানুকে বিকেলে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্বামী সুলতান কাজী এবং তারা বানুর ছেলে মোস্তফা পলাতক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রোববার রাতে তার স্বামী বাড়ি থেকে আসবাব নিয়ে স্থায়ীভাবে দ্বিতীয় স্ত্রী তারা বানুর বাড়ি যেতে চাইলে বিউটি বাধা দেন। তখন স্বামী আর তারা বানু তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে মাথার চুল কেটে দেন। আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন বিউটিকে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে বিউটির বাবা মোখলেছার রহমান ক্ষেতলাল থানায় সুলতান কাজী, তারা বানু ও তারা বানুর প্রথম পক্ষের ছেলে মোস্তফাকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার পর পুলিশ তারা বানুকে থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিউটি খাতুনের ২২ বছরের মেয়ে সীমা খাতুন বলেন, ‘বাবা তিন মাস আগে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তারা বানুকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই মায়ের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে।’
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, মামলার পরপরই তারা বানুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।