করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া কঠোর বিধিনিষেধে দুধের দাম কমে যাওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন ময়মনসিংহের খামারিরা। ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তায় ১০০ লিটার দুধ ফেলে প্রতিবাদ করেছেন ৩০ খামারি।
খামারিরা বলছেন, যারা নিয়মিত দুধ কিনতেন তাদের অনেকে দুধ খাওয়া বন্ধ করেছেন। হাটবাজারের অনেক চায়ের দোকানও বন্ধ। ফলে ২০ টাকায় নেমেছে প্রতি কেজি দুধের দাম।
সোমবার সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পৌর বাজারে এভাবেই প্রতিবাদ জানানো হয়। এ সময় খামারিরা সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুধ কেনার দাবি জানান।
আব্দুর রহমান নামে একজন খামারি বলেন, ‘আমি দুধ বিক্রি করেই সংসার চালাই। করোনার প্রাদুর্ভাব আমাকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এখন আবার চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। চায়ের দোকানগুলো বন্ধ হয়েছে। দুধ বিক্রি করতে না পারলেও গরুকে খাবার ঠিকই দিতে হয়। এখন গুরুকে খর, ভুসি খাওয়ানোর টাকা নেই।’
আব্দুল হাই নামে আরেকজন বলেন, গ্রামে হাতেগোনা কয়েকটি চায়ের দোকান খোলা থাকলেও হাটবাজারে চায়ের দোকানগুলো বন্ধ। খামারিরা এসব দোকানেই দুধ বিক্রি করেন। ফলে চায়ের দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কমে গেছে দুধের দাম।
তিনি বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি ঘুরে ২০ টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুধ কিনলে আমরা অনেকটাই রক্ষা পেতাম।’
ত্রিশাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, এই উপজেলায় দুগ্ধ খামার রয়েছে প্রায় ১২ হাজার। এদের মধ্যে যারা মূলত চায়ের দোকান কিংবা মিষ্টির দোকানে দই বানাতে দুধ বিক্রি করেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
‘ত্রিশালে মিল্ক ভিটার একটি ক্রয়কেন্দ্রে ছিল, কিন্তু সেটিও এখন বন্ধ। এজন্য আমরা পরিকল্পনা করছি যারা দুধ বিক্রি করতে সমস্যায় পড়ছেন তাদের দুধ আমরা পাস্তুরাইজ করে দেব। এতে করে খামারির ক্ষতি কিছুটা হলেও কম হবে’-বলেন এই কর্মকর্তা।