বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিমান্ডে যৌন নির্যাতন: ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  •    
  • ৫ জুলাই, ২০২১ ২২:৪১

মামলার আসামিরা হলেন সদ্য প্রত্যাহার হওয়া উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান ও পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম, উজিরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবং অজ্ঞাতপরিচয় তিনজন।

বরিশালে হত্যা মামলার এক নারী আসামিকে রিমান্ডে যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে উজিরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবং ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মমিন উদ্দিন।

মামলার আসামিরা হলেন সদ্য প্রত্যাহার হওয়া উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান ও পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম, উজিরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবং অজ্ঞাতপরিচয় তিনজন।

পুলিশ কর্মকর্তা মমিন জানান, আদালতের নির্দেশে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে যৌন নির্যাতনের শিকার ওই নারী উজিরপুর থানায় সোমবার মামলাটি করেন।

বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান সোমবার বলেন, নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে ওসি জিয়াউল আহসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।

আদালত সূত্র জানায়, ২৬ জুন উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ি এলাকা থেকে বাসুদেব চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার ভাই বরুন চক্রবর্তী ওই দিনই থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় এক নারীকে। ওই নারীর সঙ্গে তার ভাইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেন বরুন।

হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জুন বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উজিরপুর আমলি আদালত নারী আসামির দুই দিনের রিমান্ড দেন। রিমান্ড শেষে ২ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখে কারণ জানতে চায় আদালত।

ওই নারী আদালতকে জানান, রিমান্ডে পুলিশ তাকে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন করেছে। আদালত এক নারী কনস্টেবল দিয়ে তার দেহ পরীক্ষা করে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পান।

আদালত তার যথাযথ চিকিৎসা এবং তাকে নির্যাতনের বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দেয়।

পরিচালকের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর