বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৩ বছরে বিয়ে, পরদিনই মৃত্যু

  •    
  • ৫ জুলাই, ২০২১ ২২:১০

মিতার নানি মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘আমি কোলে পিটে কইরি মানুষ কইরিছি। অভাবের সংসার আমার তাই বিদেশি ছেইলির সাথে বিয়ে দিনু সুখে থাকবে বইলি। আজ আমার নাতনি আমাদের ছাইড়ি চইলি গেল।’

মেহেরপুরে বিয়ের পরদিনই শ্বশুরবাড়ি থেকে ১৩ বছরের এক মেয়ের গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রাম থেকে সোমবার দুপুরে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, কাজিপুর গ্রামের ৩৬ বছর বয়সী সৌদি প্রবাসী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে একই এলাকার মিতা খাতুনের বিয়ে হয়।

সোমবার দুপুর তিনটার দিকে তার ঘর বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মিতার ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ পান। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বখতিয়ার নিউজবাংলাকে জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

রফিকুলের বোন সীমা খাতুন জানান, তিনি আর মিতা একসঙ্গে টিভি দেখছিলেন। সে উপর থেকে আসছে বলে উঠে যায়। কিন্তু দুই ঘণ্টা পরও না নামলে তাকে ডাকতে গিয়ে দেখেন এই অবস্থা।

প্রতিবেশীরা জানান, রফিকুলের প্রথম বিয়ে হয় ভারতীয় এক মেয়ের সঙ্গে। তারপর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বছর দুয়েক আগে তিনি আরও দুইটি বিয়ে করেন। বিয়ের এক সপ্তাহ না যেতেই তারা চলে যায়। এটি তার চতুর্থ বিয়ে ছিল।

মিতার নানি মর্জিনা খাতুন

মিতার নানি মর্জিনা খাতুন জানান, মিতার বয়স যখন ১০ মাস তখন ওর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাবা আর মেয়ের কোনো খবর নেয়নি।

তিনি বলেন, ‘আমি কোলে পিটে কইরি মানুষ কইরিছি। অভাবের সংসার আমার তাই বিদেশি ছেইলির সাথে বিয়ে দিনু সুখে থাকবে বইলি। আজ আমার নাতনি আমাদের ছাইড়ি চইলি গেল।’

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর