নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে একটি কাগজের কারখানায় গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার ভোররাত চারটার দিকে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই একই ধরনের ঘটনা ঘটল নারায়ণগঞ্জে।
কাঁচপুরে দগ্ধ চারজন হলেন মুস্তাক আহমেদ, মো. আসাদুজ্জামান, তফিজুল ও মোহাম্মদ ফারুক।
দগ্ধদের মধ্যে ৪২ বছর বয়সী মোস্তাকের শরীরের ৭৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। ৩২ বছর বয়সী আসাদুজ্জামানের শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। ৬৮ শতাংশ পুড়ে গেছে ৫০ বছর বয়সী তফিজুলের। ওই তিনজনেরই শ্বাসনালির ক্ষতি হয়েছে।
আর ৪৫ বছর বয়সী মো. ফারুকের শরীর পুড়েছে ৫ শতাংশ। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ার কারণে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করছি।
‘অন্যজন তুলনামূলকভাবে কম পুড়লেও তাকেও আমরা মনিটর করছি। তাকে যখন আমরা স্ট্যাবল (স্থিতিশীল) মনে করব, তখনই বাসায় পাঠাব।’
গুরুতর আহত তিনজনই ‘সিকিউরিটি ফোর্স লিমিটেড’ নামের একটি নিরাপত্তাকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। প্রতিষ্ঠানের চুক্তি অনুযায়ী তারা নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে আল নূর পেপার মিলস নামের একটি কাগজের কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাতে হঠাৎ সেই কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটলে ওই তিনজনসহ চারজন দগ্ধ হন।
সিকিউরিটি ফোর্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাগজ কারখানার মেইন গেটেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই গেটেই আমাদের তিনজন নিরাপত্তাকর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
‘গেটের পাশ দিয়ে একটি গ্যাসের লাইন গিয়েছে। সেখান থেকে গত কয়েক দিন ধরেই গ্যাস লিকেজ হচ্ছিল। সেই গ্যাসের প্রভাবেই এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’