চলমান বিধিনিষেধের তিন দিন যেতে না-যেতেই পিরোজপুরের নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা খাদ্যসংকটে পড়েছেন।
কেউ কেউ পরিবারের মুখে খাবার দিতে বেরিয়ে পড়ছেন রাস্তায়; মানছেন না বিধিনিষেধ।
জেলা প্রশাসন বলছে, প্রায় ৩৩ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দ এসেছে। শিগগিরই শ্রমিক-দিনমজুরদের মধ্যে বিতরণ করা হবে সহায়তা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ১ জুলাই থেকে দেশে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ, যা পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন নামে।
এবার প্রশাসন অন্যবারের চেয়ে বেশি কঠোর। পিরোজপুরও এর বাইরে নয়। মানুষের চলাচল ঠেকাতে ৭টি উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করে বসানো হয়েছে তল্লাশিচৌকি। মোড়ে মোড়ে কড়া পাহারা তো আছেই, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দিচ্ছে অলিগলিতেও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হতে পারছে না যানবাহন। বন্ধ রয়েছে সব দোকানপাট।
যারা চাকরিজীবী, তাদের হয়তো সমস্যা কম। কিন্তু যে শ্রমজীবী মানুষরা নিত্যদিন পরিশ্রম করে উপার্জন করতেন, তাই এই অবস্থায় আয়হীন হয়ে পড়েছেন।
রাস্তার পাশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মাছ, তরকারি নিয়ে বসলেও বিক্রি হচ্ছে না আগের মতো।
ফুটপাতের কলা বিক্রেতা নজির আমিন জানান, তার দিনে আয় ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, এখন হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
খুচরা মাছ বিক্রেতা ফরিদ হোসেন জানান, তিনি অল্প কিছু মাছ কিনেছেন। তা-ও বিক্রি হচ্ছে না। কেনা দামও না ওঠায় এই কদিনে তার লোকসান হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম বলেন, ‘জেলায় ইতিমধ্যে ৩২ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টাকা সরকারি বরাদ্দ এসেছে। শিগগিরই শ্রমিক-দিনমজুরদের মাঝে বিতরণ করা হবে খাদ্য সহায়তা।’
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ৩৩৩ নাম্বারে কল দিয়ে খাদ্য সহযোগিতা চাওয়া হলে দ্রুতই পৌঁছে যাবে খাদ্যসামগ্রী।