বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউনে যাত্রী নেই, দুশ্চিন্তায় রিকশাচালকরা

  •    
  • ৪ জুলাই, ২০২১ ২২:৫৫

‘হগলে মনে করতাছে রিকশাওয়ালারা অনেক টেহা কামাইতাছে। কিন্তু ঘণ্টায় মাত্র ৬০ টাকা ইনকাম করছি। লকডাউনের আগে ঘণ্টায় ২০০ টাকা ইনকাম হইত। অহন তো মালিকরে রিকশা ভাড়া দিয়া কী আর নিজে খামু, এইডা নিয়া চিন্তায় আছি। মেম্বার-চেয়ারম্যানরা যদি ত্রাণ দিত, তাইলে একটু ভালা কইরা বাঁচতে পারতাম।’

করোনা সংক্রমণ রোধে সারা দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত রাখবে এই বিধিনিষেধ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারঘোষিত সাত দিনের লকডাউনের চতুর্থ দিন দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।

এদিন মানুষকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেখা গেছে। সড়কে গাড়ি না থাকলেও চলছে রিকশা।

সরেজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী, ভাদুঘর, কুমাড়শীল মোড় ও টিএ রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ম্যাজিস্ট্রেট, সেনা ও পুলিশ সদস্যরা। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রয়েছে চেকপোস্ট।

তবে মাস্ক ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারাই সড়কে বেরিয়েছেন, তাদের প্রায় সবাইকে পড়তে হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে। বাইরে বেরোনোর উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারায় অনেককে গুনতে হয়েছে জরিমানা।

এদিকে লকডাউনের কারণে রিকশাচালকের আয় কমে এসেছে বলে দাবি করেছেন চালকরা। লকডাউনের কারণে ঘর থেকে মানুষ বের না হওয়ায় ভাড়া পাওয়া যায় না বলে জানান তারা।

এমনই একজন রিকশাচালক হেলাল। তার বাড়ি শহরের মেড্ডা এলাকায়।

তিনি বলেন, ‘সরকার লকডাউন দিছে, এইডা তো মাইনাই চলতে হইব। কিন্তু শহরের মানুষ নাই, কেউ বাড়িততে বাইরই না। তাইলে রুজি হইব কেমনে। শহরে ঘুরতাছি খালি গাড়ি লইয়া।

‘আগে ঘণ্টায় ১০০-১৫০ টাকা মারতে ফারতাম, কিন্তু অহন ঘণ্টায় ৮০ টাকাও মারতে পারি না। সরকারের কাছে আমাগো দাবি, লকডাউন দিসে মানুষের ভালার লাইগা, কিন্তু আমরা যাতে চলতে পারি এমন সাহায্য-সহযোগিতা আমাগো দেক।’

এমন দাবি সাহাদ আলীরও। তিনি বলেন, ‘হগলে মনে করতাছে রিকশাওয়ালারা অনেক টেহা কামাইতাছে। কিন্তু ঘণ্টায় মাত্র ৬০ টাকা ইনকাম করছি। লকডাউনের আগে ঘণ্টায় ২০০ টাকা ইনকাম হইত। অহন তো মালিকরে রিকশা ভাড়া দিয়া কী আর নিজে খামু, এইডা নিয়া চিন্তায় আছি। মেম্বার-চেয়ারম্যানরা যদি ত্রাণ দিত, তাইলে একটু ভালা কইরা বাঁচতে পারতাম।’

ভারী যানবাহন চলাচল না করায় রিকশা নিয়ে শহরে প্রবেশ করছে গ্রাম এলাকার লোকজন। ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে উপজেলার নানা গ্রাম থেকে রিকশা নিয়ে প্রবেশ করছেন তারা। শুধু গ্রাম অঞ্চলের লোকজন নয়, শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এখন রিকশা।

এ বিভাগের আরো খবর