ভুয়া বিলের (অ্যাডভাইস) মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কুড়িগ্রাম থেকে চারজনকে ও ঢাকার উত্তরখান থেকে একজনকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সোনালী ব্যাংকের শ্রীপুর থানা শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল হক শ্রীপুর থানায় নয়জনের নামে মামলা করেন।
আসামিরা হলেন শ্রীপুর উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বজলুর রহমান, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর আরিফুর রহমান, মাস্টাররোলে কর্মরত মো. তানভীর, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নওদাবস নিউ বড়ভিটা গ্রামের রনজিত কুমার, প্রবাশ চন্দ্র রায়, সুবল চন্দ্র মোহন্ত, কমল চন্দ্র রায়, ফুলমনি রাণী ও ঢাকার উত্তরখান জামতলা এলাকার শাহেনা আক্তার।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুন তানভীর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বজলুর রহমান স্বাক্ষরিত সরকারি চাকরিজীবীর আনুতোষিকের পাঁচটি বিলের ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬০ টাকা পরিশোধের জন্য নিয়ে আসেন। বড় অঙ্কের টাকা হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক থেকে ফোন দিয়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিশ্চয়তা নেয়া হয়।
বিল অনুযায়ী ছয়জনের সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা পাঠানো হয়। তবে পরদিন ব্যাংক কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তারা সোনালী ব্যাংকের কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী শাখায় যোগাযোগ করে হিসাব নম্বরগুলো যাচাই করেন।
জানা যায়, হিসাবধারীরা কেউ সরকারি চাকরিজীবী নন। তারা সবাই কৃষক।
শ্রীপুর উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিসের জুনিয়র অডিটর খলিল উদ্দিন জানান এই বিলে সমস্যা আছে। এরপর নাগেশ্বরী শাখাকে দ্রুত নো পেমেন্টের জন্য বলা হয়। এ কারণে কেউ টাকা তুলতে পারেনি।
উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বজলুর রশিদের দাবি, তার সরলতার সুযোগে অফিসেরই কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা তার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এ বিল ব্যাংকে পাঠিয়েছে। তানভীর তার স্বাক্ষর জাল করেছে। তিনি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত নন।
কিন্তু সোনালী ব্যাংকের শ্রীপুর থানা শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল হক জানান, বজলুর ফোনে তাকে বিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। তাদের অনুসন্ধানে জালিয়াতির বিষয়টি বেরিয়ে আসায় মামলা করেছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’