ধাতব মুদ্রা ও ম্যাগনেট কয়েন নিয়ে প্রতারণার মামলায় একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বগুড়া সদরের আমলি আদালতের মাধ্যমে রোববার বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বগুড়া সদর উপজেলার শাপলা মার্কেট এলাকা থেকে শনিবার রাত ১১টার দিকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে প্রতারণার মামলা দিয়ে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহীন ইমরান আলী। ৫০ বছরের ইমরান আলী বগুড়া সদর উপজেলার বিহারি কলোনি (লতিফপুর) এলাকার বাসিন্দা।
বগুড়া র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (লেফটেন্যান্ট কমান্ডার) আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারের সময় ইমরান আলীর কাছ থেকে ৫৫টি পুরোনো ব্রিটিশ ধাতব মুদ্রা, মুদ্রা তৈরির ছাঁচ, মোবাইল ফোন এবং ৩০ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, পুরোনো ব্রিটিশ ধাতব মুদ্রা বা কয়েন সংগ্রহ ও তৈরি করে বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে আসছে একটি চক্র। প্রতারকরা বলেন, ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ এই মুদ্রা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে বাংলাদেশে বিভিন্ন সীমানা পিলারের মধ্যে পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক মার্কেটে এই ম্যাগনেটিক মুদ্রার মূল্য কোটি টাকা। মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (নাসা) এই মুদ্রার প্রধান ক্রেতা।
বিষয়টি বগুড়া র্যাব ক্যাম্পের গোয়েন্দা দলের নজরে আসে। তারা ধাতব মুদ্রা প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য তৎপরতা শুরু করে।
ইমরান আলী কম মূল্যে ভাঙারির দোকানসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েন সংগ্রহ করতেন। পরে মুদ্রাগুলো কেমিক্যাল দিয়ে বিভিন্ন ছাপ দিয়ে শুকানোর জন্য রোদে রাখতেন। পরে এসব আগুনে পুড়িয়ে অ্যাসিড দিয়ে নিমজ্জিত রেখে ধাতব মুদ্রা তৈরি করতেন। তৈরি করা ধাতব মুদ্রাগুলো বিক্রি করতেন লাখ টাকায়।