ঢাকার সাভারে ঘরে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে এক দম্পতি আহত হয়েছেন। পুলিশের ধারণা, ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।
আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় রোববার বেলা ৩টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছে আশুলিয়া থানার পুলিশ।
শনিবার মধ্যরাতের বিস্ফোরণে দগ্ধরা হলেন শাহিন মিয়া ও শাহিনের স্ত্রী তানজিলা বেগম। তাদের বাড়ি নওগাঁ। দুজনই পোশাকশ্রমিক।
তাদের প্রতিবেশী লাইলী বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাইতে গভীর ঘুমে আছিলাম। তিনটার দিক কঠিন একটা শব্দ হইসে। ঘুম থাইকা উইঠা আমার ছেলে, আমি হাউহাউ করতাছি।
‘পরে হুড়াপাড়া কইরা গেট খুইলা দেখি আমার ঘরের সামনে আগুন। পাশের রুমের তানজিলার দরজা দেখি ভাইঙ্গা পাথাল হইয়া পইড়া রইছে। ওরা দুইজন বের হইতে পারতাছে না। পরে বাইরের লোকজন আইসা দরজাটা সরাইয়া দেখে ব্যাটাটা (শাহিন) কঠিন পোড়া পুড়ছে। আর তানজিলা টয়লেটের মইদ্দে বইসা রইছে, কোনো কথা কইতে পারতাছে না।’
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
আব্দুল আলীম নামে আরেক প্রতিবেশী বলেন, ‘আসলে ব্যাপারটা কী হইছে, আমরা কেউই এখনও শিওর বলতে পারতেসি না। ওদের ঘরের দরজাটা বাস্ট হইয়া সইরা যায়। তখন ঘর থাইকা আমি বাইর হইয়া যায়্যা দেহি, ওরা দুইজনে কইতাছে, আমগো বাঁচাও বাঁচাও।
‘পরে দরজাটা সরায় দিয়া বাহির কইরা মেডিক্যালে নিয়া গেছি আমরা। তখন স্বামীটার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখছি।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজর আলী জানান, ঘরটা এমনভাবে তৈরি ওখানে আলো-বাতাস ঢোকার কোনো সুযোগ নেই। সম্ভবত দীর্ঘদিন ধরে ঘরের মধ্যে গ্যাস জমা হয়েছিল। পরে হয়তো কয়েল জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ হয়েছে।
দগ্ধদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি দুজনের ৬০-৬৫ পার্সেন্ট ইনজুরি।’