নওগাঁয় লকডাউন ও শাটডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া ৮০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে বেসরকারি সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
জেলার দয়ালের মোড় জনকল্যাণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও ধোপা পাড়া পাড়ঘাটি এলাকায় রোববার দুপুরে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাল, পাঁচ কেজি ডাল, এক কেজি লবণ, এক কেজি চিনি, তিন কেজি আটা, এক কেজি তেল, দুটি সাবান এবং একটি শার্ট।
শহরের দয়ালের মোড়ের বাসিন্দা আসমা খাতুন বলেন, ‘হামার স্বামী ভ্যান চালায়। লকডাউনের কারণে ভ্যান চালাবার পারিচ্ছে না। হামরা গরিব মানুষ। এই খাবারগুলা পাইয়া হামাকে খুবই উপকার হচে।’
শহরের চকমুক্তার মহল্লার রিকশাচালক আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউনের কারণে রিকশা চালাবার পারিচ্ছি না। রিকশা চালাই হামার পরিবার চলে। একন তো রিকশা চালানই বন্ধ আছে। এই সময় এ রকম খাবার পাইয়া হামার খুবই উপকার হল। কয়ডা দিন খাবারের চিন্তা করা লাগবে না। তবে হামি একন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো খাবার পাইনি। লকডাউন যদি আবার বাড়ে তয় সরকার থাকা খাবার দিতি অনুরোধ করিচ্ছি। না হলে পরিবার লিয়া বিপদে পড়া যামু।’
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আদর্শ সমাজ গঠনে ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সভাপতি কিশোর কুমারের অনুপ্রেরণায় নওগাঁর দুটি জায়গায় ৮০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসহায়তা দিয়েছি। তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যানন্দ গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে সব সময় আছে এবং থাকবে। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী মজুত রয়েছে। সামনে আরও মানুষকে খাদ্যসহায়তা দেয়া হবে।’
করোনা সংক্রমণের কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউন ও সারা দেশে চলমান শাটডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাদের কথা চিন্তা করেই বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পক্ষে খাদ্যসহায়তা বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। লকডাউন চলাকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংগঠনটির ওই স্বেচ্ছাসেবক।
এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ সদর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাশরেফুর রায়হান মাহিন, তেঁতুলিয়া বিএমসি কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার (পিআরএল) মো. খালেকুজ্জামান আনছারীসহ অনেকে।