বগুড়ার ধুনটে অপহরণের পর এক স্কুলছাত্রীর ধর্ষণ মামলার মীমাংসা নিয়ে তাকেই আবার মারধরের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রীর নানি।
শনিবার দুপুরে উপজেলার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর নানি ধুনট থানায় ছয়জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন একই এলাকার তিন যুবক। এ ঘটনায় ২০ ফেব্রিয়ারি স্কুলছাত্রীর মা ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পাঁচদিন পরে ওই ছাত্রীকে বগুড়া সদর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সম্প্রতি ওই যুবক জামিনে মুক্ত হয়ে ওই ছাত্রির পরিবারের সঙ্গে মামলা মিমাংসার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে গত ২৫ জুন দুই লাখ টাকায় মামলা আপোষের সিদ্ধান্ত হয়।
মামলা মীমাংসার টাকা নিয়ে শনিবার দুপুরে আসামী পক্ষের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসামীপক্ষের লোকজন স্কুলছাত্রীসহ তার মা, খালা ও নানিকে মারধরে করে। আহতরা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের দাবি, মারধরকারীরা আসামীদের স্বজন।
অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়ার ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, ‘মেডিক্যাল প্রতিবেদনে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। এই ঘটনায় অভিযোগপত্র তৈরি প্রায় শেষের দিকে। দ্রুতই অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়া হবে।’
ওই মামলা মীমাংসা নিয়ে মারধরের বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘আজ যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তাদের সঙ্গে মামলার আসামীদের কোনো মিল নেই। মীমাংসার কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না তা জানা নেই।’