ফেনীর দুই উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও কহুয়া নদীর ৩টি স্থানের বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। গ্রামগুলো থেকে পানি কমলেও কাটেনি আতঙ্ক।
পুনরায় বৃষ্টি কিংবা উজান থেকে পানি নামলে এসব ভাঙা বাঁধগুলো দিয়ে যেকোনো মুহুর্তে পানি ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফুলগাজী ও পরশুরামে শনিবার সকাল পর্যন্ত ফসলি জমি, আমনের বীজতলা, মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে থাকতে দেখা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে পানি নেমে গেলে দৃশ্যত হয় ক্ষতচিহ্নগুলো।
এদিকে পানিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, পানি কমলেই বাঁধগুলো সংস্কার করা হবে।
স্থানীয় বেলাল হোসেন জানান, কিছু এলাকা থেকে পানি পুরোপুরি নেমে গেলেও নিচু এলাকায় এখনো পানি আছে। সবজি ক্ষেত, আমনের বীজতলা, মাছের ঘের থেকে এখনও পানি নামেনি। এদিকে খোলা বাঁধে আতংক রয়েছে সবার মাঝে। কারণ ভারতের ত্রিপুরা কিংবা বাংলাদেশে ভারি বৃষ্টি হলে পানি ঢুকে যাবে। এখন জরুরি ভিত্তিতে বাঁধগুলো মেরামত করা দরকার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আকতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘ভাঙনকবলিত স্থানগুলো আমরা পরিমাপ করেছি। মেরামতের জন্য ঠিকাদার ঠিক করা হয়েছে। জিও ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চলে এসেছে। পানি কমলেও কাজ শুরু করবো।’
ফুলগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘১৫ হেক্টর আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত ও ২০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
‘পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ফসল উদ্ধারের জন্য আমরা কৃষকদের কিছু কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছি। তবে অধিকাংশ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আজকের মধ্যে পানি না নামলে আর কিছুই রক্ষা করা যাবে না।’
১ জুলাই ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজীর উত্তর দোলতপুর ও জয়পুর গ্রাম আর পরশুরামের সাতকুচিয়ায় মুহুরী ও কহুয়া নদীর তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে যায়।
প্লাবিত হয়ে ১০টি গ্রাম। গ্রামগুলো হচ্ছে ফুলগাজী উপজেলা উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, পূর্ব ঘনিয়া মোড়া, পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া, কিসমত ঘনিয়া মোড়া, জয়পুর, বৈরাগপুর, উত্তর বরইয়া, উত্তর শ্রীপুর অন্যদিকে পরশুরামে সাতকুচিয়া গ্রাম।