বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অক্সিজেন সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেনি, দাবি বগুড়ার ডিসির

  •    
  • ২ জুলাই, ২০২১ ২৩:১৯

জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাধারণ রোগীদের অক্সিজেন প্রাপ্তিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কেবল সংকটাপন্ন রোগীদের ব্যবস্থপনায় সাময়িক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে, যা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দ্রুত সমাধানের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে সাত জনের মৃত্যুর খবর আসার পর বগুড়ার জেলা প্রশাসন দাবি করেছে, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার অভাবে রোগীদের চিকিৎসায় সাময়িক অসুবিধা হলেও সাধারণ মাত্রার অক্সিজেন সরবরাহে কোনো রকম বিঘ্ন ঘটেনি।

শুক্রবার রাতে জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শুক্রবার দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যাক হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা না থাকায় অক্সিজের সরবরাহের অভাবে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও ১০ জন। মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) বিষয়টি জানিয়েছেন বলে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় জনমতে ভীতি দেখা দিয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বগুড়া জেলায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালটি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ হাসপাতালের পাশাপাশি বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল ও টিএমএসএস হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা করা হচ্ছে। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ২২৫টি বেড, শজিমেক হাসপাতালে ১০০টি বেড ও বেসরকারি টিএমএসএস হাসপাতালে ১৬০টি বেড রয়েছে। এ সকল হাসপাতালের মধ্যে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সম্প্রতি সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে যেসকল রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন সেটি সম্পূর্ণরূপে দেয়া হচ্ছে। তবে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা যখন ৮৭ এর নিচে নেমে যায় তখন রোগীকে অক্সিজেন দেয়ার জন্য হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার প্রয়োজন হয়। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে বর্তমানে ২টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে। যার ফলে সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসায় সাময়িক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে।

‘এজন্য সাধারণ মাত্রার অক্সিজেন সরবরাহের কোনো রকম বিঘ্ন ঘটেনি। প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ আছে। এছাড়াও শজিমেক হাসপাতালে ১২টি এবং টিএমএসএস হাসপাতালে ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার স্বল্পতার কারণে সামগ্রিকভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মাঝে অক্সিজের সরবরাহের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম কার্যকর রয়েছে। সাধারণ রোগীদের অক্সিজেন প্রাপ্তিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কেবল সংকটাপন্ন রোগীদের ব্যবস্থপনায় সাময়িক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে, যা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দ্রুত সমাধানের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’

শুক্রবার বগুড়ায় করোনা বিশেষায়িত সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল এবং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ১০ রোগীর মারা গেছেন ।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে এসব করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) শফিক আমিন কাজল জানান, হাসপাতালটিতে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা সংকটে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে বেশি রোগী মারা যাচ্ছে।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা আছে মাত্র দুটি।

একই সঙ্গে হাসপাতালে এখন ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি করা আছে। ধারণক্ষমতা ২০০ হলেও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রোগী ভর্তি আছে ২২৩ জন। এর মধ্যে ১০ রোগীর অক্সিজেনের মাত্রা একেবারেই নিচের দিকে, যাদের হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হচ্ছে।

হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা সংকটের একই চিত্র জেলার অন্য হাসপাতালেও।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার তিন হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা আছে ২৩টি। এর মধ্যে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ২টি, শজিমেক হাসপাতালে ১১টি এবং বেসরকারি টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০টি।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শফিক আমিন কাজল জানান, তাদের হাসপাতালে রোগীর যে পরিমাণ চাপ, সেখানে অন্তত ২০টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা প্রয়োজন, বিপরীতে আছে মাত্র দুটি।

এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শ্বাসকষ্টে থাকা রোগীদের বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর