দেশের সর্বপ্রাচীন জেলা যশোরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা মোড়ে ভৈরব নদের তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। ফাঁকা হওয়া সেই জায়গায় গত বছর চেরি ফুলের ৫০টি চারা রোপণ করে জেলা প্রশাসন।
এক বছর পরই সেই গাছে ফুটেছে ফুল। সাদা চেরির সৌন্দর্য আর সুবাসে এক সময়ের ঘিঞ্জি স্থানটি এখন পরিণত হয়েছে অবসর কাটানোর অন্যতম স্থানে।
স্থানীয়রা জানান, অবৈধ দখল উচ্ছেদের পর থেকেই ফাঁকা পড়েছিল জায়গাটি। পরে ভৈরবের পশ্চিম তীর জুড়ে ফুল গাছগুলো লাগানো হয়। বর্ষার শুরুতেই চেরি গাছগুলোতে ফুল ফুটেছে।
ভোরে শহরে হাঁটতে বের হওয়া প্রকৃতিপ্রেমী ও লেখক সাজেদ রহমান বলেন, ‘চেরি ফুলের গাছগুলো যেখানে লাগানো হয়েছে সেখানে অবৈধভাবে অনেক দোকানপাট গড়ে উঠেছিল। নদী ও প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছিল।
‘নদী খননের কার্যক্রমের সঙ্গে তীরের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে লাগানো চেরি ফুলের চারা শহরের সৌন্দর্যবর্ধনে দারুণ ভূমিকা রেখেছে।’
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, ‘আমরা গত বছর চেরি ফুলের এই চারাগুলো লাগিয়েছিলাম। দ্রুত ফুল এসে যাওয়ায় সৌন্দর্য পিপাসু শহরবাসীর মনের খোরাক মেটাচ্ছে এগুলো।’
যশোরে ভৈরব নদের তীর থেকে ২০১৯ সালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন
দেশের সর্বপ্রাচীন জেলা যশোর ১৭৮৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর শহর গড়ে উঠে ভৈরব নদের তীরে। এরপর ধীরে ধীরে অবৈধ দখল ও ময়লার ভাগাড়ে ভৈরব পরিণত হয়েছিল সরু খালে।
১৯৭২ সালে জেলা প্রশাসন ও জর্জ কোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা মোড়ে ভৈরব নদের ভরাট স্থানে দোকান বরাদ্দ নেয় ব্যবসায়ীরা। ২৮ বছর পর ২০০০ সালে ভৈরবের নাব্যতা সংকট দূর করতে সেই বরাদ্দপত্র বাতিল করে প্রশাসন।
তবে প্রায় ২০ বছরেও ব্যবসায়ীদের সেখান থেকে সরাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ২০১৯ সালে জেলা প্রশাসন ও পাউবো যৌথভাবে নদী তীর থেকে দোকানগুলো উচ্ছেদ করে।