সিরাজগঞ্জে শহর রক্ষা বাঁধে বারবার ভাঙনের কারণ এর নকশায় ত্রুটি বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার।
তিনি বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধটি নির্মাণের সময় হুন্দাই কোম্পানি স্থায়িত্ব নির্ধারণ করে দিয়েছিল ১০০ বছর। কিন্তু ১৯৯৭ সালে নির্মাণের পর গত ২২ বছরেই পাঁচবার ধস নেমেছে এই বাঁধে।’
সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙন এলাকা শুক্রবার দুপুরে পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, ‘হুন্দাই কোম্পানি ১০০ বছরের গ্যারান্টি দিয়েছিল। তাদের ডিজাইনে ত্রুটি আছে। তা না হলে বারবার কেন বাঁধ ভাঙবে। ভাঙনের আর কোনো কারণ দেখছি না।’
সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ট পয়েন্ট জেলখানা ঘাটে মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ ১৫০ মিটার ধসে যায়। ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হুন্দাই লিমিটেড এই শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বন্যা আসার আগেই ভাঙন রোধে সব প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘সারা বছর আমরা নদীর সঙ্গে যুদ্ধ করে চলি। বিশেষ করে এবার টানা বর্ষণের কারণে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যমুনায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে ভাঙন ঠেকানো হয়েছে।
‘শহর রক্ষা বাঁধে এখন আর কোনো বিপদের শঙ্কা দেখছি না। তবে কেন এখান থেকে বিআরই শাখা চলে গেছে সুনামগঞ্জে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং বিআরই শাখা আবার এখানে আনা হবে। নতুন করে হার্ডরক এনে মজুত রাখা হবে।’ সচিব আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ১ নম্বর গ্রোয়েন পর্যন্ত সার্ভে করা হবে। আগামীকাল থেকে আইডব্লিউ, সিজিআইএস ও হাইড্রোজিং ডিপার্টমেন্টসহ তিন ক্যাটাগরিতে পুরোটা সার্ভে করবে।
এ সময় সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে।