শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া বিধিনিষেধে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে একটি বিয়ের ভোজ বন্ধ করে খাবার দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তবে বিয়েতে বাধা দেয়া হয়নি। সংক্ষিপ্ত আয়োজনে বিয়ে পড়িয়ে কনেকে নিয়ে বাড়ি যায় বরপক্ষ।
শুক্রবার দুপুরে পাটাভোগ ইউনিয়নের জশুরগাঁও গ্রামে নিমাইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পাটাভোগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য নজরুল ইসলামের ভাই মো. বাবু ও স্থানীয় বাসিন্দা বাঁধন আক্তারের বিয়েকে কেন্দ্র করে সেখানে ভোজের আয়োজন করা হয়েছিল।
তবে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধে এ ধরনের আয়োজন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কেবল জরুরি প্রয়োজনেই বাড়ি থেকে বাইরে আসতে বলেছে প্রশাসন। আর যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাইরে এলে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
এবার সরকার যে কঠোর অবস্থানে, তা সেনাবাহিনী মোতায়েনেই স্পষ্ট। আর প্রথম দিন কেবল রাজধানীতে ৫৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, ‘৪০০ মানুষকে দাওয়াত দিয়ে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল, যা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যেহেতু বিয়েটি পূর্বপ্রস্তুতিমূলক এবং সব দিক বিবেচনা করে শুধু ছেলেপক্ষ এসে মেয়েকে নিয়ে চলে যাবে, এমন সুযোগ দিয়ে বিয়ে করতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কনেপক্ষ তাদের প্যান্ডেল নিজেরাই খুলে ফেলেছে। আর খাবার রান্না করা হয়ে গিয়েছিল। তাই সেগুলো যেন নষ্ট না হয়, তাই আশপাশের গরিব-দুস্থদের মধ্যে তা বণ্টন করে দিতে বলা হয়েছে।’
লকডাউনের সময় আর কোথাও যেন কোনো অনুষ্ঠানে রান্না না করেন, সে জন্য বাবুর্চিকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান ইউএনও।