বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এক পাতা ‘নাপা’ ওষুধের দাম তিন গুণ বেশি নেয়ার দায়ে এক ফার্মেসি মালিককে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়াও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন শুক্রবার সকালে এসব অভিযান পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ বাজারে এক পাতা নাপা ট্যাবলেটের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা নেয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে ফার্মেসি মালিকেরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এক পাতা নাপা বিক্রি করছেন ৩০ টাকা করে। একই সঙ্গে নাপা-জাতীয় ওষুধের (নাপা এক্সটা, নাপা এক্সটেন্ড ও নাপা সিরাপ) দাম বেশি রাখা হচ্ছে।
এ অভিযোগে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কনক ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়। ওই ফার্মেসিতে নাপা ট্যাবলেটের দাম বেশি রাখা হচ্ছিল। এ ছাড়া ওই ফার্মেসিতে ওষুধ থাকার পরও ক্রেতাদের কাছে অস্বীকার করা হচ্ছিল। পরে সুযোগ বুঝে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করছিল এই ফার্মেসি। এসব অপরাধে ফার্মেসির মালিককে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলার অন্যান্য ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে ওষুধের দাম ও মজুত থাকা ওষুধের পরিমাণ যাচাই করা হয়। এ ছাড়াও করোনা সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকাল থেকেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই সময় সরকারি বিধিনিষেধ এবং স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করায় তিনটি মামলায় আরও ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমিন বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ও জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।