কঠোর লকডাউনে মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে শুক্রবার জুমার নামাজে এসব শর্তের একটিও মানা হয়নি চট্টগ্রামে।
বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপনের পর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দেয়া শর্তের মধ্যে রয়েছে মসজিদের ফটকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখা, মুসল্লিদের মাস্ক পরে মসজিদে আসা, বাসা থেকে অজু এবং সুন্নত নামাজ আদায় করে আসা, মসজিদে কার্পেট না বিছিয়ে নিজ নিজ জায়নামাজ আনা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা।
এ ছাড়া নামাজে দাঁড়ানোর সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা এবং শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তির জামাতে অংশ না নেয়া।
চট্টগ্রাম নগরীতে জুমায় এসব স্বাস্থ্যবিধি মানতে নামাজের আগে মাইকিংও করা হয়। তবে তা কানে তোলেননি মুসল্লি ও মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
জুমার নামাজে নগরীর অধিকাংশ মসজিদের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা জীবাণুনাশক দেখা যায়নি। বাসা থেকে অজু করা বা জায়নামাজ নেয়ার শর্তও মানেননি অনেকে। অধিকাংশ মসজিদও কার্পেট তোলেনি। নামাজে দাঁড়ানোর সময় সামাজিক দূরত্ব দূরে থাক মাস্কও ছিল না অনেক মুসল্লির মুখে।
নগরীর অক্সিজেন এলাকায় বাইতুস সালাম জামে মসজিদে আসা প্রকৌশলী রিফাত মন্নান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বাসা থেকে অজু করে এবং সুন্নত পড়ে ও জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে আসলেও এসে দেখি অন্য রকম পরিস্থিতি। এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে খুব কম লোকে।
‘অথচ এর আগে মসজিদের মাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসার জন্য বলা হয়েছিল।’