ফরিদপুর জেলায় করোনা সংক্রমণ কমেনি। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৯জন। নতুন করে ১৯৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ অবস্থাতেও সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মানছেন না অনেকে। শাটডাউনের প্রথম দুই দিনে অন্তত ১০০ টি মামলা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন সিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর পিসিআর ল্যাবে ৩৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ৪১ শতাংশ। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৭৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ২২৭ জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন চিকিৎসাধীন ৯ জন। তাদের মধ্যে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। অন্য ৬ জন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে।
শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৫ জন। এ ছাড়া করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ১৯৭ জন।
এদিকে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শাটডাউনের দুই দিনে ফরিদপুর জেলার নয় উপজেলায় একশটি মামলা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব মামলায় ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে শুক্রবার সকাল থেকেই কঠোর অবস্থানে ছিল আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক ছিল কার্যত জনমানব শূন্য। দোকান-পাটও ছিল বন্ধ।
সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সড়কে তৎপর। বিভিন্নস্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবুও অনেকে নির্দেশনা অমান্য করে ঘোরাঘুরি করছেন, মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য জেলায় ১২টি স্থায়ী পুলিশ চেকপোস্ট এবং ২৯টি মোবাইল টিম কাজ করছে। দুই দিনে জেলায় ১০০টি মামলা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’