বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সড়ক ফাঁকা, বাজারে গাদাগাদি

  •    
  • ২ জুলাই, ২০২১ ১৪:১২

শুক্রবার ভোর থেকেই সাভার বাজার, বাসস্ট্যান্ড, হেমায়েতপুর, উলাইল, বাইপাইল, শ্রীপুর, জিরানীসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকারি বাজারগুলোতে জনসমাগম দেখা গেছে। বিশেষ করে সাভার ও বাইপাইল এলাকার বড় পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

কঠোর শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে সাভারের সড়কগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। কিছুসংখ্যক মানুষকে রিকশা-ভ্যানে চলাচল করতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার ভোর ও বিকেলে সড়কে শ্রমিকবাহী বাস দেখা গেলেও শুক্রবার সকালে সেগুলো দেখা যায়নি।

সড়কের কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বাজারগুলোতে ছিল মানুষের জটলা। এসব বাজার মনিটরিংয়ে প্রশাসনের কাউকেই দেখা যায়নি।

শুক্রবার ভোর থেকেই সাভার বাজার, বাসস্ট্যান্ড, হেমায়েতপুর, উলাইল, বাইপাইল, শ্রীপুর, জিরানীসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকারি বাজারগুলোতে জনসমাগম দেখা গেছে। বিশেষ করে সাভার ও বাইপাইল এলাকার বড় পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

বাইপাইলে আশুলিয়া পাইকারি মৎস্য মার্কেটের লোকসমাগম বেশি থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে বেশির ভাগই ছিলেন উদাসীন। অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। আবার মাস্ক থাকলেও অনেকেই ভরে রেখেছেন পকেটে। জিজ্ঞেস করতেই নানা অজুহাতে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করেছেন তারা।

এ ছাড়া বাজার কর্তৃপক্ষকেও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

মাছ কিনতে আসা খুচরা বিক্রেতা সোলায়মান হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাস্ক আছে কিন্তু পকেটে রাখছি। বৃষ্টিতে ভিজা গ্যাছেগা। নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গার্মেন্টস শ্রমিকনেতা বলেন, ‘শুক্রবার এই বাজারে আসছি মাছ কিনতে। আমরা তো টেক্সটাইলে চাকরি করি। গার্মেন্টসে ঢোকার সময় ওই একটু-আধটু পরি। অ্যারপর ভিতরে ঢুকলে যা সেই।’

আড়তদার ও বাজার কমিটির সদস্য আব্দুল হালিম স্বাস্থ্যবিধির কথা বলতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

তিনি বলেন, ‘বাজার কমিটি সকাল থেকে দুইবার মাইকিং করছে, ব্যানার টানাইছে। কেউ না শুনলে আমরা কী করমু? মাস্ক নিয়া আসে কিন্তু পরে না।’

বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আপনাদের কোনো ব্যবস্থা কিংবা মাইকিং দেখিনি এমন প্রশ্নে বলেন, ‘আপনাগো কানে মনে হয় খইল হইছে হেই জন্যে মাইকিং শোনেন নাই। আর বাজারের সামনেই ব্যানার আছে দেখেন গিয়া।’

সাভার বাসস্ট্যান্ডের মাছ ও কাঁচামালের আড়তে গিয়েও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রতি অনাগ্রহ দেখা গেছে অনেকের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাঁচামালের এক দোকানি বলেন, ‘শুক্রবার বলে আজ বাজারে মানুষের ভিড় বাড়ছে। অনেকেই মাস্ক পরে আসেন। আবার অনেকেই মাস্ক ছাড়া। গতকালকে প্রশাসনের লোকজন আসছিলেন। ফাইনও করে গেছেন। কিন্তু মানুষ না শুনলে ওনারা কী করবেন?’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, 'আমি অলরেডি বাইপাইলের ওই মাছ বাজারেই আছি। তবে বাজার ভোর থেকে শুরু হয়ে আগেই শেষ হয়ে গেছে। বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নজরদারিতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরাও একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন।’

এর আগে শাটডাউনের প্রথম দিনেই সাভার শিল্পাঞ্চলে গণপরিবহন সংকটে গার্মেন্টসমুখী শ্রমিকদের ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে। পরিবহন না পেয়ে অনেকে অন্য গার্মেন্টসের বাসে গাদাগাদি করে কারখানায় গেছেন। অনেকে ১০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দিয়ে রিকশায় কারখানায় গেছেন। হেঁটে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যাও ছিল অসংখ্য।

এ বিভাগের আরো খবর