প্রায় ২০ ঘণ্টা পর পানি নেমে আগের রূপে ফিরেছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল।
বৃহস্পতিবার রাত আটটার পর হাসপাতালের নিচতলা থেকে পানি সরে গেছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন হাসপাতাল অনুসন্ধান বিভাগের গিয়াস উদ্দিন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত আটটার থেকে হাসপাতালের নিচতলা ও প্রবেশ পথে জমে থাকা পানি নামতে শুরু করে। এর আগে বুধবার রাত ১২টার দিকে হাসপাতালের প্রবেশ পথ হয়ে নিচতলায় পানি জমতে শুরু করে। বর্তমানে হাসপাতালের নিচতলা কিংবা প্রবেশ পথে কোনো পানি নেই।
‘তাছাড়া বৃষ্টির কারণে যেসব ওয়ার্ড অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছিল তার মধ্যে জরুরি বিভাগ ও অর্থোপেডিক পুনরায় নিচতলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালের সব কার্যক্রম এখন স্বাভাবিকভাই চলছে।’
এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বলে জানান সহকারী আবহাওয়াবিদ ফরিদ আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘এখন আর চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির মত ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা নেই। যেহেতু বর্ষাকাল চলছে, তাই সারা দেশেই যে কোনো মুহূর্তে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত হতে পারে।’
এর আগে বুধবার রাতে কয়েক ঘণ্টার মাঝারি বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম শহরের নিম্নাঞ্চল।
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত টানা বর্ষণে সড়কে পানি জমে থাকে দুপুর পর্যন্ত। এতে ‘নিয়ম করে’ প্রতিবারের মত হাঁটু পানি জমে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে।
হাসপাতাল এলাকা থেকে পানি নামা শুরু হয় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর। তবে নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার কিছু জায়গায় এখনও পানি রয়েছে বলে জানিয়েছেন কামরুল হোসাইন নামের ওই এলাকার এক বাসিন্দা।